পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২১ ) ডাকাতের দল এসে খুজতে লাগল। সেই যাত্রীদের। তারা এসেই আগেকার প্রথম র্তাবুটী খুজিলে। দেখলে সব শান্ত, নিস্তব্ধ ; ভাবলে যাত্রীরা বুঝি ঘুমুচ্ছে। হঠাৎ তাদের আক্রমণ করবে ভেবে চুপি চুপি ভঁবুতে দুকে তারা অস্ত্ৰ চালাতে লাগল, কিন্তু সেই অস্ত্রগুলো কেবল কঠিন ব্যঙ্গ ধ্বনি করে ফিরে এল। ডাকাতরা ভাবলে-এ কি হ’ল ? তবে কি যাত্রীরা আগে থেকে খবর পেয়ে পালিয়েছে ? এ তাঁবুতে ত তাদের চিরকুমাত্র ও নেই। আচ্ছা, এই যে লম্বা লম্বা মানুষের মত শুয়ে রয়েছে, এ গুলো কি ? যেই তারা সেই কম্বল আর কাপড় সরিয়ে দেখল, দেখে সেখানে মানুষের বদলে কতকগুলো শক্ত কাঠ-শুধু কাঠ। তবে মানুষ গুলো কি ভোজবাজীতে উড়ে গেল ? তারা গেল কোথায় ? খোেজ, খোজ । এ দিক ও দিক খুজতে খুজতে সেই দ্বিতীয় তীবুটা তাদের চােখে পড়ল। তারা ছুটগিয়ে সেটার ভেতরে ঢুকল, কিন্তু কৈসেখানেও ত কেউ নেই, সব ফাঁক । এ দিকে যাত্রীরা গাছের ওপর বসে বসে তীর ছুড়তে লাগল। আচমকা তীরগুলো এসে ডাকাতদের বিদ্ধ করতে লাগল, আর তাদের অসাড় দেহ পাথরের ওপর লুটিয়ে পড়তে লাগল। যারা বাকি রইল। তারা প্রাণভয়ে পালিয়ে গেল । এই রকমে সে দিন যাত্রীরা ডাকাতদের হাত থেকে বঁাচল । তাদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেয়ে তারা ভগবান বুদ্ধদেবকে উদ্দেশ্যে নমস্কার করে বলতে লাগল-“ওং মণিপদ্মে নমঃ হুং ।”