[已t司] এবার বুঝি যাত্রীদের কষ্টের অবসান হল--তারা হিমালয় পার হতে পেরেছে। যাত্রীরা একে একে সেই বিরাট পাহাড় থেকে নামচে, আর নেমে সেই পরমপুরুষকে ধন্যবাদ দিচ্ছে হাঁটু গেড়ে বসে। আজ কতদিন পরে, কত কষ্ট, কত দুঃখ, কত জ্বালা যন্ত্রণা সহ্যু করে তারা সফলতাকে বরণ করতে পেরেছে। তাই আজি প্ৰাণ ভরে ধন্যবাদ দিয়ে নিলে তঁাকে, যার কৃপায় তারা বিনাশের হাত থেকে বেঁচে এসেছে। মৃত্যু তাদের পথ আগলিয়ে বসেছিল, তারা কিন্তু তাকে বিভ্ৰান্ত করে চলে এসেছে, কেবল ২।৫ জন তার সঙ্গে যুঝতে না পেরে অমর লোকে চলে গেছে। এবার মনের আনন্দে, নতুন উৎসাহে যাত্রীরা পথ চলতে লাগল। এবার সেই দারুণ শীত নেই, বরফ নেই, কুয়াসা নেই, হাজার রকম বিপদেরও সম্ভাবনা নেই। যতই তারা এগিয়ে যেতে লাগল, কেবল দুধারে খালি মাঠ দেখতে পেতে লাগল। যাত্রীদের অদ্ভুত পোষাক, হাতে মালা, ঘণ্টা ও আর সব জিনিষ দেখে সবাই অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকায় আর জিজ্ঞাসা করে- “কোন দেশের লোক তোমরা হে ?” তারা বলে-“ঐ যে দূরে একটা মস্ত বড় পাহাড় দেখছ, তারই ঐ ওপার থেকে আমরা আসছি।” অনেক সময় যাত্রীরা ঠিক করতে পারে না কোন পথে যাবে,
পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।