পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( والي ) এলে ভোটদেশের ভিক্ষুসংঘ জাগবে না। তাই আমাদের মহারাজা আপনাকে নিমন্ত্রণ করে পাঠিয়েছেন। আপনি না। পদার্পণ করলে, তিব্বতের সন্ধৰ্ম্ম একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তিববত আপনাকে ডাকছে, সদ্ধািৰ্ম্ম উদ্ধার করবার জন্য ।” এই বলে তিনি আচাৰ্য্য দীপঙ্করের পায়ের কাছে অজস্রণ স্বর্ণমুদ্রা ঢেলে দিলেন। চমকে উঠে আচাৰ্য্য বল্লেন-“সর্বনাশ। আমি ভিক্ষু, স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে আমি কি করব। নিয়ে যাও, ফিরিয়ে নিয়ে যাও৮ তোমাদের রাজার কাছে ।” “এসব আমাদের মহারাজা আপনার সংঘকে উপহার দিয়েছেন, আর আপনাকে নিমন্ত্রণ করেছেন ভোটদেশে যাবার জন্য ।” আচাৰ্য্যদেব বলে উঠলেন-“অসম্ভব, বিক্রমশিলার মাঠ ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব । সমস্ত বিক্রমশিলার ভার আমার ওপর, দেশী বিদেশী যে সব ছাত্ররা এ মাঠে আসে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, থাকার ব্যবস্থা করা, কোন ভিক্ষু কোন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন—সে সব ঠিক করার ভার আমার ওপর । যে সব মন্দির রয়েছে। মঠের ভিতরে সেই ১০৮টা মন্দির পর্য্যবেক্ষণের ভারও আমার ওপর। এই বিক্রমশিলার মঠ সম্পৰ্কীয় সমস্ত ব্যাপার। আমার ওপর নির্ভর করছে। এই সব গুরু কৰ্ত্তব্যভার ছেড়ে আমি কি করে যাব ভোটদেশে ! না, না-এ একেবারে অসম্ভব তোমাদের রাজার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা । তোমাদের রাজাকে বল গিয়ে আমাকে ক্ষমা করতে। ”