পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 9१ ) “কিন্তু আমরা যে কত আশা করে কত দূর দেশ থেকে আসছি।-শুধু আপনাকে ভোটদেশে নিয়ে যাবার জন্য। আপনি না গেলে ভোটদেশের ভিক্ষুসংঘ আর সদ্ধািৰ্ম্ম একেবারে লোপ পেয়ে যাবে। ” “ভোটদেশে সদ্ধৰ্ম্মের এই দুরবস্থা শুনে বড়ই ব্যথিত হলুম, কিন্তু আমি যে আমার কৰ্ত্তব্য ছেড়ে যেতে পারি না । আরও আমার ইষ্ট দেবতার নিষেধ আছে-ভঁর অনুমতি ছাড়া আমি বিক্রমশিলা ত্যাগ করতে পারি না ।” “আমরা কিন্তু আপনাকে না পেলে বিক্রমশিলা ছেড়ে যাব। না । যতদিন না। আপনার মত বদলাবে ততদিন কেবল বসে ভগবান তথ্যগতের পূজা করব। আর যদি তিব্বতে বাস্তবিকই প্ৰাণের সঙ্গে ভগবান বুদ্ধদেবকে ডেকে থাকে, তবে আপনাকে নিশ্চয়ই যেতে হবে।” তখন আচাৰ্য্য বল্লেন-“আচ্ছ, যদি আমার ইষ্টদেবতার অনুমতি পাই, তবেই তোমাদের নিমন্ত্রণ গ্ৰহণ করতে পারি।” তারপর থেকে মঠের তিববতী ছাত্ররা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে কেবল ভগবান বুদ্ধদেবের অৰ্চনায় মগ্ন হল। তাদের দৃঢ় প্ৰতিজ্ঞা আচাৰ্য্য দীপঙ্কর শ্ৰীজ্ঞানকে নিয়ে যাবেই। সময় নেই তারা কেবল-“ওঁ মনে পদ্মে হুং” বলে ঘণ্টা বাজিয়ে ধৰ্ম্মচক্ৰ ঘুরিয়ে ভগবান তথ্যগতের পূজা করতে লাগল। এই দেখে আচাৰ্য্য দীপঙ্করের আসন বুঝি টিলল। তিনি একদিন রাত্রে তঁর পূজার মন্দিরে প্রবেশ করলেন,