( ely ) অনেকক্ষণ বসে ধ্যান করতে লাগলেন। তিনি কেবলই ভাবছিলেন-বিক্রমশিলা ছেড়ে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হবে कि ना ! সেই কথা ভাবতে ভাবতে, তার যেন মনে হল-তার ইষ্টদেবতা তার সামনে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-“এ ক্ষেত্রে আমার কৰ্ত্তব্য কি निgीs कgन्न नि ।” উত্তর এল-“তোমার ভবিষ্যৎ জীবনটা আমি বেশ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। তোমার অদৃষ্টের লিখন যে শেষ জীবন তুমি স্বদেশে কাটাতে পারবে না, তোমায় বিদেশে ঘুরে বেড়াতে হবে । এই যে নিমন্ত্রণ তোমার কাছে এসেছে ভোটদেশের রাজার কাছ থেকে, এ তোমার নতুন ভবিষ্য জীবনের আদি সূচনা দিচ্ছে। ভোটদেশে তোমার নতুন কৰ্ত্তব্য রয়েছে, সেখানে সন্ধৰ্ম্ম তোমাকে গড়ে তুলতে হবে, ভিক্ষু সংঘকে নতুন জীবন দিতে হবে। অবশ্য তোমার প্ৰিয় কাৰ্য্যক্ষেত্ৰ ' বিক্রমশিলা ছেড়ে যেতে তোমার কষ্ট হবে। কিন্তু তোমার ভোটদেশে যাত্রার মধ্যে আর একটী বিধির বিধান আছে। এই যে বিক্রমশিলার মঠ-যাকে ভিক্ষুসংঘ এত ভালবাস, তার আয়ু বেশীদিন নেই। এক শ বৎসরের মধ্যে যে এক বিনাশ হবে, তা আমি দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি। আমি বুঝতে পারছি এর বিনাশ হবে তুরস্কদের হাতে। তারা পশ্চিম দিক থেকে পঙ্গপালের মত ছুটে আসবে বাংলা মগধের ওপর, তার হাতে কৃপাণ নিয়ে সব বিহার, মঠ
পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।