পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ শুনাত ] তিব্বতে আজ উৎসবের সাড়া পড়ে গেছে। আজ তিব্বতের ভিক্ষুসংঘ আচাৰ্য্য দীপঙ্করকে অভ্যর্থনা করতে এসেছেন। তিব্বতের রাজা নিজে সব বন্দোবস্ত করে দিচ্ছেন। তিনি নিজে আচাৰ্য্যদেবকে অভিনন্দিত করবেন, আজ র্তার মনস্কামনা পূর্ণ হবে। যখনই খবর এসেছে যে আচাৰ্য্যদেব ভোটদেশের সীমান্তে পৌচেছেন, অমনি রাজা একদল সেনা নিয়ে তঁর সেনাপতিকে “পাঠিয়ে দিলেন। তঁকে অভ্যর্থনা করে নিয়ে আসবার জন্যে। এদিকে রাজসভায় তাকে অভ্যর্থনা করবার জন্যে বিপুল আয়োজন হয়েছে। ভিক্ষুরা একদিকে দল বেঁধে বসেছেন। আর তঁাদের হাতে ঘণ্টা, প্রার্থনাচক্র রয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের নানা লোকেরা জড় হয়েছে আচাৰ্য্যদেবকে দেখবার জন্যে ! শেষকালে খবর এল-আচাৰ্য্যদেব আসছেন। আগে আগে ঘোড়ায় চড়ে সেনারা এল, তারপর তিববতী যাত্রীরা, তাদের মাঝখানে ঘোড়ায় চড়ে আচাৰ্য্যদেব এলেন, তঁর পাশে অনেক ভারতীয় ভিক্ষু। আচাৰ্য্যদেব পথে মালা জপতে জপতে আসাছিলেন, আর বলছিলেন- “অতি ভাল অতি ভাল হে৷” ঊর্তাকে দেখবার জন্যে রাস্তায় লোকে লোকারণ্য । তিববতের ছেলে বুড়ো সকলে এসেছে তাকে দেখবার জন্যে। কেউ বা তঁর সামনে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করছে। কেউবা রাস্তার ধুলো নিয়ে