( 8ፃ ) এর পরে একজন প্রবীণ তিব্বতী ভিক্ষ উঠে একখানি অক্তিআনন্দন পাঠ করেন :- “হে আচাৰ্য্য, আপনি ভগবান বুদ্ধদেবের জন্মভূমি থেকে আসছেন, আপনি জ্ঞানে বিদ্যায় বোধিস্বত্ত্ব, আপনাকে নমস্কায় । আপনি আমাদের ভিক্ষ সংঘকে নতুনভাবে, নতুন আদর্শে সঞ্জাবীত * “হে আচাৰ্য্য, আপনি গৌড়ের রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেছেন, (১৬) কিন্তু রাজ্যের ধন ঐশ্বৰ্য্য আপনার মনকে মুগ্ধ করতে পারে নি, সে সব ত্যাগ করে ভগবান বুদ্ধের মত আপনিও সন্ন্যাস গ্ৰহণ করেছেন, সেজন্য আমাদের নমস্কার গ্ৰহণ করুন। “হে আচাৰ্য্য, আপনি বৌদ্ধজগতের গৌরবস্থল। আপনার শিক্ষার আরম্ভ ওদন্তপুরের বিহারে, আর সমাপ্তি সুবৰ্ণ দ্বীপের মহাপণ্ডিত চক্ৰকীৰ্ত্তির কাছে । জ্ঞানে বিদ্যায় আপনার সমকক্ষ বৌদ্ধজগতে নাই। “হে আচাৰ্য্য, আপনার জ্ঞানের পুবস্কারস্বরূপ মহারাজাধিরাজ নরপাল আপনাকে বিক্রমশিলা বিহারের সর্বাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করেন। আর আপনি বৌদ্ধশাস্ত্রে অদ্বিতীয় পণ্ডিত বলে আমাদের মহারাজা আপনাকে আমন্ত্রণ করে এনেছেন। “হে আচাৰ্য্য, আপনি যে আপনার প্রিয় বিক্রমশিলার মঠ ছেড়ে এদেশে এসেছেন। সদ্ধৰ্ম্মের উদ্ধারের জন্য, সেজন্য আমাদের ( ১৬ )। তার পিতার নাম-কল্যাণ শ্ৰী ; আর মাতার নাম-প্ৰভাবতী
পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।