পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অঙ্ক । বিদ্যুকের প্রবেশ। বিদু।—নিমন্ত্রণিক যেমন গরম পরমান্ন মুখে ধরে রাখতে পারে না, তেমনি আমি এত লোকের মাঝে রাজ-রহস্তটা জিবের উপর ধরে রাখতে পারচিনে—টগ,বগ করে যেন ফুটচে। তাঁ, যতক্ষণ মহারাজা ধৰ্ম্মাসন হতে না ওঠেন ততক্ষণ আমি “দেবচ্ছন্ন”-প্রাসাদে একটা নির্জন স্থানে গিয়ে বসে থাকি গে। ( পরিক্রমণ করিয়া অবস্থান ) দাসীর প্রবেশ । দাসী —কাশীরাজ-কন্ত দেবী আমাকে বলেন “দেখ, নিপুনিকে ! মহারাজা স্বৰ্য্যদেবের ওখান থেকে ফিরে আস্বার পর থেকে তাকে ভারি অন্তমনস্ক দেখচি। তা, তুই মানবক-ঠাকুরের কাছ থেকে রাজার এই উৎকণ্ঠার কারণটা জেনে আয় দিকি” । এখন কি করে সেই বিটলে বাওনাটার কাছ থেকে কথা বের করেনি ? কিন্তু আমার মনে হয়, পাতলা ঘাসের উপর যেমন শিশিরের জল বেশিক্ষণ থাকে না, রাজার লুকোনো কথাটাও তার পেটে বেশি ক্ষণ থাকবে না। এখন তবে একবার খুজে দেখি সে কোথায় আছে। এই যে, একটা চিত্রিত বানরের মত মানবক-ঠাকুর দেখনা কেমন চুপটি করে বসে আছে। এখন তবে ওর কাছে এগিয়ে যাই । (নিকটে গিয়া ) ঠাকুর । প্রণাম । , বিদু-কল্যাণ হোক! (স্বগত) এই দুষ্ট দাসী বেটিকে দেখে সেই রাজ-রহস্তটা যেন আমার হৃদয় ভেদ করে বেরুবার উপক্রম