বিক্রমোবর্বশী । &&. ( পরিক্রমণ ও অবলোকন করিয়া সহৰ্ষে ) যে পথ দিয়ে মানিনী চলে গেছেন, তার চিকু এইবার দেখতে পেয়েছি । সেট নিয়নাভি সুন্দরী— বাধা ঠেলি মান-ভরে করিয়া গমন ফেলিয়া গিয়াছে তার স্তনের বসন । সে বসন শু্যামবর্ণ শুকেশদর-প্রায়, অশ্রুসিক্ত ওষ্ঠরাগ অঙ্কিত তাহায় ॥ (চিন্তা করিয়া ) একি ! এযে ইন্দ্রগোপ-কীটপূর্ণ একটি শুমল নব তৃণভূমি। এই নির্জন বনে কি করে প্রিয়ার সন্ধান পাই ? ( দেখিয়া ) এই যে, বৃষ্টি-ধারায় উচ্ছসিত এই শৈল-ভূমির পাষাণস্ত পে প্রিয়া বুঝি আরোহণ করেছেন – উদ্ধে কণ্ঠ উত্তোলিয়া, কেকারবে পুরি দিক্ শিীগণ নেহারিছে মেঘে, নড়িছে শিখণ্ড-গুলি সম্মুখে ঝুকিয়া পড়ি প্রবল সে সমীরণ-বেগে ॥ ( নিকটে আসিয়া ) আচ্ছা ভাল ওকে জিজ্ঞাসা করি । এ অরণ্যে কর বাস ধবল-অপাঙ্গ ওগো নীলকণ্ঠ শিখি ! উৎকণ্ঠ-হেতু মোর দীর্ঘাপাঙ্গ প্রেয়সীরে দেখনি তুমি কি ? একি ! কোন উত্তর না দিয়ে নাচতে লাগল যে ! এর হর্ষের কারণ না জানি কি । ( চিন্তা করিয়া ) ০ঃ ! বুঝেচি — ঘন-শ্ৰী সুচারু পুচ্ছ ভিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে অনিল-পরশে,
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।