6७ বিক্রমে বর্বশী নাহি মোর প্রিয়া তাই নিঃসপত্ন হয়ে শির্থী নাচিছে হরমে । মুকেশীর কেশগুচ্ছ কুসুম-ভূষিত রতিশ্রমে আহা কিবা হত আলুলিত ! —সে থাকিলে শির্থী কারো মন কি হরিত ? আচ্ছ ষাকৃ। পরদুঃখে যে সুখী তাকে আর জিজ্ঞাসা করব না । ( পরিক্রমণ করিয়া ) এই যে, গ্রীষ্মাবসানে উন্মত্ত কোকিল জামগাছের ডালে বসে আছে । বিহঙ্গ জাতির মধ্যে এরাই পণ্ডিত । ভাল, একেই জিজ্ঞাসা করে দেখি । কামী-জন যত সবে বলে তোরে মদনের দুতি, —মানের অমোঘ অস্ত্র —মান ভাঙিবারে দক্ষ অতি । কলভাষী পিক করে ! মোর কাছে প্রেয়সীরে কর অনিয়ন । কিম্বা মোরে ত্বরা করি নিয়ে যারে যেথা আছে প্রেয়সী এখন ॥ কি বল্লে ?—আমার মত অনুরক্ত জনকে কেন সে ত্যাগ করে” চলে গেল ?—শোনো তবে – করিয়াছে মান, নাহি মানের কারণ ; . কিছু হেতু আছে বলি ন হয় স্মরণ । রমণের কালে দেখ রমণী সবাই প্রভূত্ব পুরুষ-পরে করে গো সদাই । অকারণে মান করে তারা গো অযথা, হোক্ বা না হোক কোন ভাবের অন্যথা ॥
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।