বিক্রমে বর্বশী । ¢ፃ এ কি ! আমার কথায় মনোযোগ না দিয়ে আপনার কাজেই মত্ত ? পরের মহৎ দুঃখ অন্যে নাহি দহে, তাই তো অপরে তা তলবল কহে। বিপন্ন আমি যে, মোরে করি হতাদর পঙ্কজম্বু-রসপানে পিক্ সে তৎপর —মদান্ধা কামিনী যথা পিয়ে গো অধর ॥ আমার প্রিয়ার মত এই মৃদু-ভাষিনী কোকিলাও আমাকে যে ত্যাগ করে চলে গেল,—যাক, আমি তাতে রাগ করচি নে। আচ্ছ। তবে এখান থেকে যাওয়া যাক্। (পরিক্রমণ ও কাণ পাতিয়া শ্রবণ) এই যে ! দক্ষিণ দিকে প্রিয়ার চরণের নুপুর-ধ্বনির মত কি যেন শোনা যাচ্চে না ?–আচ্ছ তবে ঐ দিকেই যাই । (পরিক্রমণ করিয়া ) হায়! এ নহে নুপুর ধ্বনি, মানস গমন তরে সমুংমুক রাজহংস কুল । শু্যাম-কান্তি মেঘোদয়ে নিরখিয়া দশদিশি কুজিতেছে হইয়া আকুল । আচ্ছ ভাল, মানস-সরোবরে বাবার জন্ত উৎসুক এই পার্থীরা যতক্ষণ না সরোবর থেকে উড়ে যায় ততক্ষণ ওদের কাছে থেকে প্রিয়ার সন্ধান নেওয়া যাক। (নিকটে গিয়া ) ওগো ! জলবিহঙ্গ রাজ ! ক্ষণ তরে তাজ এবে মৃণাল-পাথেয়, মানসে যাইবে যদি পরে লয়ে যেয়ে । প্রিয়ার বিরহ হতে, মোরে এবে কর গো উদ্ধার স্বার্থ হতে গুরুতর, সাধুদের বন্ধু-উপকার । (পথের দিকে উন্মুখ হইয় অবলোকন ) “মনস-ঔৎসুক্যে আমি কিছুষ্ট লক্ষা করিনি”—এই কথা বলচে। -
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।