বিক্রমোর্কশী । * ♥ዊ প্রস্থত মণি-বিনা আর তার উদ্ধার হরে না । আমি গুরুদেবের শাপপ্রভাবে বিমূঢ়-চিত্ত হয়ে, দেবতার নিয়ম বিশ্বত হয়ে, আপনার প্রণতিঅনুনয় অগ্রাহ করে কুমার-বনে প্রবেশ করি। প্রবেশ করবামাত্রই আমি বসন্তলতায় পরিণত হই। রাজা –এখন সব বুঝতে পারলেম । শয্যাপরে সুপ্ত হলে সুরত-আয়াসে, আশঙ্কা করিতে তুমি-গিয়াছি প্রবাসে । সেই তুমি বল প্রিয়ে কেমন করিয়া সুদীর্ঘ বিচ্ছেদ-দুঃখ রহিলে সহিয়া ? একজন মুনির সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ায় তার উপদেশে—তুমি যার কথা বলছিলে—সেই মণি লাভ করে, সেই মণির প্রভাবেই দেখ তোমাকে আবার পেলেম । ( মণি প্রদর্শন ) উৰ্ব্ব —অহো ! এই সেই “সংগমনীয়” মণি ? তাই, মহারাজ আমাকে যেমনি আলিঙ্গন করলেন অমনি আমি প্রকৃতিস্থ হলেম । (মণি লইয়া মস্তকে ধারণ ) রাজা —এই ভাবে খানিক ক্ষণ দাড়াও দিকি । ললাটের মণি-রাগে, দীপ্ত তব বদন-মণ্ডল —ধরিয়াছে শোভা যেন, বালাতপে রকত কমল ॥ " উৰ্ব্ব ।—বহু কাল হল, প্রতিষ্ঠান নগর ছেড়ে আপনি চলে এসেচেন । এর জন্ত প্রজারা নিশ্চই আমার উপর রাগ করচে । চলুন এখন আমরা ফিরে যাই । রাজা –তোমার আদেশ শিরোধার্য্য। উৰ্ব্ব —মহারাজ ! কি রকম করে এখন যেতে ইচ্ছা করেন ? রাজা –দেখ প্রিয়ে !
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।