পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/১৪১

NO8 frtts-b(ertti বিনোদনের জন্য একটা জলযন্ত্র প্রস্তুত করিতেছে। সেই জলযান্ত্রের কল খুলিলে জলের তিন ধারা বাহির হয়। সেই তিন ধারার ভিতর প্রবাহরূপে অনন্ত ধারা বাহির হয় । সেই কল বন্ধ করিলে, সেই তিন ধারা বন্ধ হইয়া এক রাজা মাত্র থাকেন। সেইরূপ স্কুলশারীররূপ গৃহে অধিষ্ঠিত কুটস্থরূপ পরমাত্মা রাজা রহিয়াছেন। তঁহার বিনোদনার্থ মায়া বা অজ্ঞানরূপ কারিকার অন্তঃকরণ রূপ যন্ত্র প্রস্তুত করিয়াছে । জাগ্ৰত ও স্বপ্ন কালে প্রারব্ধ। কল খুলিলে, তিন গুণের প্রবাহরূপ তিন ধারা প্রবাহিত হয়। সেই তিন ধারার ভিতর হইতে অগণিত বৃত্তি উঠিতেছে। পুনশ্চ, সুষুপ্তিকালে প্ৰাৰব্লব্ধি কৰ্ম্মেৱ কলা বন্ধ হয়। তখন এই তিন বৃত্তির ভাব ও অভাবের প্রকাশক আনন্দস্বরূপ কেবল পরমাত্মারূপ রাজা মাত্র অবশিষ্ট থাকেন। ( আত্মার দীর্ঘ স্বপ্নে কত কি প্ৰকাশ হইতেছিল, স্বপ্নভঙ্গে কিছুই নাই ; যে প্রারব্ধ কৰ্ম্মের কল খোলা হইয়াছিল, তাহা আত্মার একদেশে শক্তির স্ফুরণ মাত্ৰ।) কল বন্ধ হইলেই শক্তির যে স্ফুরণ ইহাও ভান মাত্ৰ-যে ভান হওয়ায় দেখাইতেছিল, আত্মা ব্যতীত অন্য কিছু আছে, সেই ভানের লয় হইলেই “অহং ব্ৰহ্মাস্মি” ইহাই উক্ত হইয়া, সেই পরমাত্মা মাত্র রহিলেন । সেই পরমাত্মাই আমি । এই হেতু সাত্তিকী, রাজসী ও তামসী বৃত্তি আমি নহি, আমারও নহে। ইহা অন্তঃকরণের। আমি ইহার জ্ঞাতা এবং দ্রষ্টা, এজন্য পৃথক। ( শক্তির কথা বলা হইল না। বলা হইল শক্তির ফুরণ বা কাৰ্য্য। যাহার নাম সাত্ত্বিকী, রাজসী ও তামসী বৃত্তি ( ) , প্রঃ। অন্ধপনা, মন্দপনা ও পটুপন “আমি” নাহি এবং “আমার’ও নহে, ইহা কিরূপে জানা যায় ? উঃ । যখন নেত্ৰাদি ইন্দ্ৰিয় আপন আপন বিষয় গ্ৰহণ করে না,