পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

è à o বিচার-চন্দ্ৰোদয় । সাধকের নিকট নানাপ্রকার কথা কহিলেও সাধক মনে মনে নিজের কথাই নিজের উপাস্তকে জানান ; কাজেই কোনটা ভাল কথা কোনটা মন্দ কথা, কোনটি ভাল কাজ কোনটি মন্দ কাজ, কোনটি অনুরাগের বিষয় কোনটি বিরাগের বিষয় তাহার ধারণাই থাকে না । ভিতরের কাৰ্য্যে তিনি দৃঢ় রূপে নিযুক্ত থাকেন বলিয়া মৃৎপিণ্ড, পাষাণ, কাঞ্চন, বিষ্ঠা, চন্দন কিছুই ভেদাভেদ দেখেন না। এই অবস্থাতে আপনা হইতে উপাস্তদেবের সহিত সম্বন্ধ নিৰ্ণয় হইয়া যায়। এ ক্ষেত্রেও দুই প্ৰকার জ্ঞানলাভ হয়। প্ৰথমে অন্তরে অন্তরে নিরন্তর কথা ও মানসপুজা । তজ্জন্য নিজের উপাস্ত যে জড় নহে, ইহা অনুভূতি। তিনি চৈতন্য, দৃশ্য জড় ; এই বিচারে যিনি আছেন প্ৰপঞ্চের অন্তরালে তাহার অস্তিত্বে লক্ষ্য পড়ে। প্ৰতি বস্তু, প্ৰতি কাৰ্য্য, প্ৰতি নক্ষত্র, প্ৰতি বৃক্ষ সেই চিন্ময় উপাস্য স্মরণ করাইয়া দেয়। গুরু ও শাস্ত্রের যে উপদেশ। পরোক্ষ-জ্ঞানে গ্ৰহণ করিয়াছিল, সাধনায় তাহাই অনুভব হইতে থাকে। ক্রমে তত্ত্বমস্যাদি বিচার আইসে। “সেই এই’ হইয়া যায়। সে বড়ই প্ৰেমময় তাহাকে চিনিলেই সে তাহার মত করিয়া লয় । ইহাই অপরোক্ষ জ্ঞান। ইহারই নাম সৰ্ব্বদুঃখ নিবৃত্তি বা পরমানন্দ প্ৰাপ্তি ; ইহাই জীবন্মুক্তি।