পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V f5tR-5びエi両羽 l তবেই হইল চিত্তকে সবল করিবার জন্য জাতির ও ব্যক্তির তপস্থত। চাই । সত্ত্ব গুণ জাগাইবার জন্য আবার শুদ্ধ আচার চাই ও শুদ্ধ অহারও চাই। মাংসাদি আহারে শরীর ষতটুকু বলা লাভ করে, তদপেক্ষা প্রকৃত বলের ক্ষয় হয় অনেক বেশী। কিন্তু আতপ, দুগ্ধ, ঘূতাদি সাত্ত্বিক আহারে চিত্ত স্থায়ী বলে বলশালী হয়। সাত্ত্বিক আহারের সর্বশ্রেষ্ঠ লাভ হইতেছে চিত্তের বিচার ক্ষমতা । জগতের সাৰ্ব্ব অনিষ্ঠের মূল হইতেছে বিচার হীনতা । যে সেখানে যাহা কিছু অন্যায় করে, যে যেখানে যাহা কিছু পাপ করিয়াছে, তাহা অবিচারেই হইয়াছে। ঠিক ঠিক বিচার করিতে পারিলে, কোন পাপাই হইতে পারে না। শ্ৰীভগবান নরনারীকে যতগুলি শক্তি দিয়াছেন, তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ শক্তি হইতেছে এই বিচার শক্তি। যাহাতে এই বিচার শক্তি বদ্ধিত হয়, সেই সাধনা করি ব্যক্তিগত উন্নতি ও জাতিগত উন্নতি উভয়ই লাভ করিতে পরিবে । ভিতরের অভ্যাস ব্যবহারিক কম্মে নিত্য প্ৰয়োগ করাই সাধনা । আমরা এখানে ঈশ্বর লাভের সাধনাত বলিতেছি। যিনি আমার মধ্যে আছেন, তাহাকেই অবলম্বন করিয়া তাহার পুণতা অনুভব করিতে হইবে, ইহাই হই৩েছে। সার ধৰ্ম্ম । আমার মধ্যে যিনি আছেন তিনিই আত্মপুরুষ ; তিনিই আত্মা । আত্মাই চেতন । চৈতন্য যখন শরীর গ্ৰহণ না করেন, তখন তাহাকে ধরা যায় না। তখন তিনি নিগুণ। সৃষ্টি না থাকিলে সৃষ্টিকৰ্ত্তাকে কেহই জানিতে পারে না ; পাইতে ও পারে না । দেহ না থাকিলে চৈতন্যকে উপলব্ধি করা যায় না । একমাত্র সত্য কথা এই যে চৈতন্য দেহ আশ্রয়ে খণ্ড মত বোধ হইলেও তিনি কখন খণ্ডিত হন না । আকাশ ঘটের মধ্যে প্ৰবেশ করিয়া ঘটাকাশ নাম ধরিলেও আকাশ কখন খণ্ডিত