পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fabis-bcates 6 পঠন্তি বেদ শাস্ত্ৰাণি বিবদন্তে পরস্পরং। ন জানন্তি পরং তত্ত্বং দকবীপাংকরসং যথা ৷ উদ্ধারোপায়-সংসার মোহ নাশায় শব্দবোধো নাহি ক্ষমঃ । ন নিবৰ্ত্তেত তিমিরং কদাচিদীপবৰ্ত্তিন ॥ প্ৰজ্ঞাহীনস্ত পঠনং অন্ধস্য দৰ্পণং যথা । দেবি প্ৰজ্ঞাবতঃ শাস্ত্রং তত্ত্বজ্ঞানস্ত কারণম৷ প্ৰত্যক্ষ গ্ৰহণং নাস্তি বাৰ্ত্তয়া গ্ৰহণং কুতঃ। এবং যে শাস্ত্ৰসংমূঢ়াস্তে দূরস্থা ন সংশয়ঃ ॥ বেদান্তনেক শাস্ত্ৰাণি স্বল্পায়ুর্বিন্ত্র কোটিয়াঃ । তস্মাৎ সারং বিজানীয়াৎ হংসঃ ক্ষীরমিবাম্ভসঃ ॥ বেদ পড়িয়া যাহারা পরস্পর বিবাদ করে, পরমতত্ত্ব জানে না এমন সব লোক তরকারী ঘাটা হাতার মত । ংসার দুঃখ নাশ করিতে যদি চাও, তবে শুধু শব্দের অর্থ জানিলে তাহা হয় না । শাস্ত্ৰ ব্যাখ্যায়। ইহা হয় না । প্ৰদীপের ক্ষীণ আলোকে কি অন্ধকার নাশ হয় ? কাৰ্য্য করিয়া অনুভব নাই শুধু পড়াটি আছে। এ সব লোকের শাস্ত্ৰপাঠ শুধু অন্ধের হাতে দর্পণ। প্ৰজ্ঞাবানের কাছে শাস্ত্ৰ হইতেছে তত্ত্বজ্ঞানের কারণ ৷ প্ৰত্যক্ষ আত্মাকে ধরা হইল না-কথায় শুনিয়া অধরকে ধরিবে ? এইরূপ শাস্ত্ৰমূঢ় যে সকল লোক তাহারা শ্ৰীভগবান হইতে বহু দূরে। শাস্ত্ৰ ত অনেক, আয়ুও অল্প, আবার বিস্ত্রও অনন্ত। অতএব সার যাহা তাহাই জান । হংস যেমন জল ত্যাগ করিয়া দুগ্ধটি মাত্ৰ পান করে, সেইরূপ অসার ছাড়িয়া সার গ্ৰহণ কর ।