बिक्लिबिडा প্রতিদিবসের সব কাজে স্মৃষ্টির প্রতিভা তব অক্লান্ত বিরাজে। তাই দেখি তোমার সংসার চিত্তের সজীব স্পর্শে সৰ্ব্বত্র তোমার আপনার ॥ আষাঢ়ের প্রথম বর্ষণে মাটির যে-গন্ধ উঠে সিক্ত সমীরণে, ভাদ্রে যে-নদীটি ভরা কুলে কুলে, মাঘের শেষে যে-শাখা গন্ধঘন আমের মুকুলে, ধানের হিল্লোলে ভরা নবীন যে-ক্ষেত, অশ্বথের কম্পিত সঙ্কেত, আশ্বিনে শিউলিতলে পূজাগন্ধ যে-স্নিগ্ধ ছায়ার জানি না এদের সাথে কী মিল তোমার ॥ দেখি ব’সে জানালার ধারে, প্রাস্তরের পারে, নীলাভ নিবিড় বনে শীত সমীরণে চঞ্চল পল্লব-ঘন সবুজের পরে ঝিলিমিলি করে জনহীন মধ্যাহ্নের সূর্য্যের কিরণ,– ' তন্দ্রাবিষ্ট আকাশের স্বপ্নের মতন । দিগন্তে মন্থর মেঘ, শঙ্খ চীল উড়ে যায় চলি’ উৰ্দ্ধশূন্তে, কতমতো পাখীর কাকলী, পীতবর্ণ ঘাস শুষ্ক মাঠে, ধরণীর বনগন্ধী আতপ্ত নিঃশ্বাস মৃত্মন্দ লাগে গায়ে, তখন সে ক্ষণে অস্তিত্ত্বের যে-ঘনিষ্ঠ অনুভূতি ভরি’ উঠে মনে,
পাতা:বিচিত্রিতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।