বিচিত্র জগৎ سیا۹l যাযাবর তাতার উপজাতিরা বাস করে। পৰ্ব্বতের উত্তর দিকে ঢালুতে বৃষ্টিপাত হয় বেশী, সেদিকে শস্ত ও ফলমূল বেশী 硕弧侗目 কিরঘিঞ্জি ও কাজাক এই দুটি উপজাতির বাসই এ অঞ্চলে বেশী। উরুমচি যাবার পথে বহুসংখ্যক কাজাক উপনিবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছিল। এদের ঘরবাড়ী নেই, সারা জীবনই কাটিয়ে দেয় চামড়ার তাঁবুতে। কাজকেরা খুব ভদ্র, অনেক জায়গায় এরা আমাদের উটের দুধ দিয়ে অভ্যর্থনা করেছে—দুধের দাম দিতে গেলে এরা অপমান বোধ করে। পরিক্রম করবার ক্ষমতা এদের অসাধারণ। দৈহিক শক্তিতে সারা মধ্য-এশিয়ার কাজকদের তুলনা মেলে না। ডনকশাক ছাড়া এদের মত দক্ষ সওয়ার বোধ হয়। পৃথিবীতে বেশী নেই। ঈগল পাখীর সাহায্যে শিকার কাৰ্য্যে কাজাকিরা অত্যন্ত পটু। শিকারে সুদক্ষ ঈগল পাখীর আদর কাজকদের মধ্যে এত বেশী যে, শিকারী ঈগল ক্রয়বিক্রয়ের প্ৰথা নেই। এদের মধ্যে। পর্বতশিখরের দুৰ্গম প্রদেশে ঈগল পাখীর বাসা থেকে পাখীর ছানা সংগ্ৰহ করা হয়। এ কাজে সাহস ও কৌশল দুইএরই প্রয়োজন আছে- অনেক সময় ধাড়ী ঈগলে সংগ্ৰহকারীকে আক্ৰমণ করে, সে অবস্থায় অক্ষত দেহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করা প্ৰায় অসম্ভব । দুরারোহ পর্বতশিখরে ধাড়ী ঈগল দ্বারা আক্রান্ত হওয়া অতীব বিপজ্জনক, অনেকে এ অবস্থায় প্ৰাণ হারিয়েছে । দুটি ভাল ঘোড়ার চেয়েও একটা ভাল শিকারী ঈগল মূল্যবান বলে গণ্য নয়। শিকারী ঈগল উপঢৌকন দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মানের চিহ্ন। ঈগল পাখী দ্বারা সাধারণতঃ কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করা হয়--কাজাকিরা বলে, অনেক সময় ঈগলপাখীতে নেকড়ে বাঘ পৰ্য্যন্ত শিকার করে। নেকড়ে বাঘ শিকার করানোর সময় তিন চার দিন পাখীটাকে কিছু খেতে দেওয়া হয় না, এতে তার রাগ বাড়ে, সাহস দুৰ্জ্জুম্ব হয়ে ওঠে। তখন সে যে কোন পশুকে আক্রমণ করবার জন্তে প্ৰস্তুত হয়। শিকারকর্ঘ্যে সাফল্যের পুরস্কারস্বরূপ পাখীর মালিক পাখীটাকে নিজের হাতে কঁাচা মাংস খেতে দেয়-এতে পাখী भूद दांथा थiदक। উরুমটি অঞ্চলের ঘোড়া বিখ্যাত। আমরা দেড়শো ডলার দিয়ে দুটি ঘোড়া কিনলাম এবং এখান থেকে উটের গাড়ী ছেড়ে আমরা ঘোড়াতে তুরফান ও ইলি প্রদেশের দিকে রওনা হ’লাম। তুরফান প্রত্নতত্ত্ববিদগণের অতি প্রিয় স্থান, এই প্রদেশের নানাস্থানে বহু প্ৰাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় । , এখানকার শাসনকৰ্ত্তা আমাদের সঙ্গে দু'জন শরীর রক্ষী সৈন্য দিলেন, কারণ ইলি অঞ্চলের পাৰ্ব্বত্য জাতিরা খুব দুৰ্দ্ধৰ্ব এবং বিদেশীদের উপর অত্যাচার করতে অভ্যন্ত । এই শরীর রক্ষী সৈন্য দুটি সঙ্গে থাকার দরুণ যেখানে আমরা গেলাম, সকলেই যথেষ্ট খাতির যত্ন করলে। যেখানে যাই, সেখানেই ভোজের নিমন্ত্রণ, ভেড়ার আধাসিন্ধ মাংস ও ঘোটকী দুগ্ধের কুমিস SS LE KBDBB i S DBB BDBB DBDDBD DB KDBE DDDD DLD D এখানে প্রধান খাদ্য, কাজকে ও हैद्रांत्रांङहे ऐश्रজাতির চাষ করে না, গ্ৰীষ্মকালের প্রথমে তুর্কি ও চীনা ব্যবসায়ীগণ মাঝে মাঝে যােব এবং গম উটের পিঠে বোঝাই দিয়ে বিক্রুয়ের জন্যে আনে এবং শস্তের বদলে পশম ও কুমিস নিয়ে যায়। ইলি নদীর এপারে সর্বত্র প্রস গাছের বন, এ অঞ্চলকে শিকারীর স্বৰ্গ বলা যেতে পারে। প্রসের অরণ্যে দলে দলে কৃষ্ণসার হরিণ চরছে, এক এক দলে ত্রিশ চল্লিশটা থাকে। একদিন বন্দুক হাতে তাবু থেকে বেরুলাম, জঙ্গলের মধ্যে দশ পা যেতে না যেতে দুটাে বড় হরিণের সাক্ষাৎ মিলল। মাসখানেক পরে আমরা এগারো হাজার ফুট উচু মুজার্ট গিরিবত্মা দিয়ে তিয়েনশান পৰ্বতের উত্তর দিকে ঢালু থেকে দক্ষিণ সানুদেশে পৌঁছলাম, পথের মধ্যে যেদিকে চাই চারিধারে শুধু শুভ্র তুষারাবৃত উত্তঙ্গ শিখররাজি, কতকগুলো শিখর আবার আগাগোড়া সাদা মার্বেল পাথরের। দক্ষিণ সানুদেশ একেবারে অনাবৃত, বৃক্ষলতাশূন্য, অনেক জায়গায় ঘাস পৰ্যন্ত জন্মায় না, দিনের উত্তাপ প্ৰায় অসন্থ। দিনে তীবুর মধ্যে বিশ্ৰাম করে এবং রাত্রে ঘোড়া ঢালিয়ে জুলাই মাসের প্রথমে আমরা কাশগারে পৌঁছে গেলাম।”
পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikisource/bn/thumb/e/e9/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E_-_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%B7%E0%A6%A3_%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC.pdf/page187-1024px-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A7%8E_-_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%B7%E0%A6%A3_%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC.pdf.jpg)