পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ROR বিচিত্ৰ-জগৎ শামুক, গুগলি জাতীয় প্রাণী এই অঞ্চলে অজস্ৰ-কিন্তু তাদের খোলা অত্যন্ত পাৎলা, প্রায় কাপড়ের মত। পাংলা-আর তাদের দেহের একটা খোলের মধ্যে খানিকটা গ্যাস পোরা থাকে- এই গ্যাসের সাহায্যে তারা জলে অনায়াসে ভাসতে পারে । স্কুইড জাতীয় প্ৰাণী এত বিভিন্ন ধরণের আছে যে, এক কথায় তাদের বর্ণনা দেওয়া চলে না । তাদের দেহ সরু লতার মত, জড়ানো জড়ানো, কখনও গোলাপী রংয়ের, কখনও বা ধূসর-কিন্তু বেশীর ভাগ স্বচ্ছ সাদা। স্কুইডদের একটা বড় চোখ আছে, প্ৰায় হরিণ কিংবা বড় পাখীর মত পুর্ণতাপ্ৰাপ্ত ও সুগঠিত-এদের দেহ এমন ভাবে তৈরী যে, গভীরতম তলদেশ থেকে-যেখানে জলের চাপ অতি ভয়ানক-এর জলের চাপহীন উপরের স্তরে অনায়াসে আসাযাওয়া করতে পারে। খুব কম সামুদ্রিক প্রাণীর এ ক্ষমতা আছে। আমাদের জালে একবার দুটো স্কুইড ধরা পড়ে, তাদের সরু লতার মত দেহের মাঝামাঝি একটা জলজলে চোখ বসানো, DBDD BBDD D DBB DDBueSKS BBSS নাগ-পাশের মত কঠিন বন্ধনে এরা শিকার জড়িয়ে ধরে । এই দাঁড়া দড়ির মত অবয়ব\gलिन भcक्षJ छूg9 शून नए, ३८9। शून ছোট, বাকীগুলো মাঝারি । বরফজলে এরা অনেক দিন বেঁচে ছিল । স্কুইড দেখতে অতি অদ্ভুত প্ৰাণীএদের শরীর যেন দামী কোন স্বচ্ছ স্ফটিকে তৈরী, দুষ্পপ্ৰাপ্য চীনেমাটির বাসনের মত এদের সুঠাম গড়ন, মাঝে মাঝে রাঙা ও গোলাপী রংয়ের ছিটমুখটা দেখতে গাছের পাতার মত তকটা । কিন্তু সকলের চেয়ে আশ্চৰ্য্যের বিষয় এদের চোখ-অবিকল হরিণের চোখের মত দেখতে-নাক নেই, মুখ নেই, কান নেই, হাত-পা নেই-সরস্বচ্ছ, দীর্ঘ দড়ির মত দেহের মাঝখানে १डीब्र नमूङ्गठxअद्र छङ छाडौन्न भूश्छ । হরিণ-চোখের মত একটা সুগঠিত চোপ বসানো-সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক দৃশ্য ! সমুদ্রের গভীরতম প্রদেশে চিংড়ি কঁকড়া জাতীয় প্রাণীই কিন্তু বেশী-এদের যে কত বিভিন্ন জাতি ও শ্রেণী সমুদ্রের তলায় আছে, তার সম্পূৰ্ণ বৈজ্ঞানিক হিসাব এখনও দেওয়া শক্ত—আমরা কতটুকুই বা দেখেছি। এদের দেহবর্ণাটক্‌টকে লাল। সমুদ্রের এই অংশে এক ধরণের পোকাজাতীয় প্রাণী আছে, বিজ্ঞানের পরিভাষায় তাদের শ্রেণীকে copopods বলে, এই পোকাই চিংড়ি জাতীয় প্রাণীর খাদ্য। বড় বড় রঙীন দাড়ার সাহায্যে চিংড়ি মাছের জলে সাতার