পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

RR 侍衍百-百代 বিবরণে ও ক্রুজোডের সামরিক ইতিহাস-লেখকদের গ্রন্থে মধ্যযুগে প্যালেষ্টাইনে কমলালেবু, গোড়ালেবু, মুসান্বির, লাইম প্রভৃতি লেবু জাতীয় ফলের বিস্তুত বাগানের উল্লেখ আছে। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এখানকার কমললেবু ইউরোপে রপ্তানী করবার রেওয়াজ প্ৰচলিত হয়। বৰ্ত্তমানে লেবু রপ্তানীর ধ্যবসা প্যালেষ্টাইনের অন্য সব ব্যবসাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং লেবু জাতীয় ফলই এখানকার সর্বপ্রধান কৃষিসম্পদ। ১৯৩৩ সালে এক জাফা বন্দর থেকে ৪,০০০,০০০ বাক্স ফল বিদেশে চালান গিয়েছিল। অধিকাংশ দেশে ইতিহাস লেখা থাকে প্রাচীন কীৰ্ত্তির ধ্বংসস্তাপে, আচার-ব্যবস্থারে ও প্রাচীন মুদ্রায়। প্যালেষ্টাইনে সে সব ছাড়া আর একটা জিনিষে বহু শতাব্দীধ্যাপী নানা বৈদেশিক অধিকার ও ভাগ্যবিপৰ্য্যয়ের ইতিহাস লিখিত আছে--থুষ্টান, ইহুদী ও মুসলমান, ধৰ্ম্ম ও জীবনযাত্ৰ-প্ৰণালীর বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতা অনুসারে লোকের মাথার টুপির গড়ন, রং, আকৃতি সব ভিন্ন ভিন্ন ও বিচিত্র। দরবেশদের দীর্ঘ ও ধূসর রঙের টারবুশ, ইউরোপীয় মধ্যযুগের লালটুপি, যার উপরের দিকটা মোচার অগ্রভাগের মত সরু, এখনও বেথলেহেমের মেয়েদের भi१i: (श्रi iश । गठद७: ক্রুজেডের সময় ইউরোপ থেকে এই গড়নের টুপি এদেশে এসেছিল, তার পাশেই দেখা যাবে ফ্লা সি সকা ন স শুষ্প দা য়ের সন্ন্যাসীদের গোল টুপি, এও ইউরোপ থেকে মধ্যযুগে আমদানী, এখন এখানকার কৃষকেরা ব্যবহার করে । তারপর আছে গ রী বা আরবদের ছা গা লে র গ্যালিলি হ্রদ : হ্রদমধ্যস্থ বিমানপোতের ঘাঁটি দেখা যাইতেছে। ८लां (भ भि ईि 'ठ 'अi १ ल', সৌখীিন নগরবাসী আরব ভদ্রলোকের টকটকে লাল টারবুশ, আৰ্ম্মেনিয়ানদের দীর্ঘ কালে টুপি, উপরের দিকটা পবিত্র আরারাট পৰ্ব্বতের মত দেখতে। ইহুদী সাইনডের প্রধান রাব্বিদের পশম বসানো গোল টুপি, ক্যাথলিক পাদ্রিদের টুপি, জর্জিয়ান ও পারসী ইহুদীদের টুপি, কপ্টা, আবিসিনীয় ও তুর্কীদের টুপি, প্যারিসের আধুনিকতম ফ্যাসানের তৈরী মেয়েদের টুপি সব পাশাপাশি দেখতে পাওয়া যাবে। u নবনিৰ্ম্মিত হাইফা বন্দরের ঠিক পিছনেই কারমেল পাহাড়, সেখান থেকে চারিপাশের দৃশ্য বড় সুন্দরপৃথিবীর মধ্যে খুব বেশী বন্দরে অতি সুন্দর দৃশ্য দেখা যাবে না। সামনেই কারমেলের সানুদেশে ঘন সবুজ ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের পাইন, তারপর চাষীদের মাটীর ঘর, তারপর পাহাড় ও সমুদ্রের মধ্যে হাইফা সহর, তার পরই প্রহরে প্রহরে পরিবর্তনশীল সমুদ্র, এই ধূসর, এই ঘন নীল, এই আবার অন্য রকম-কারমেলের পূর্বদিকে বহু দূরব্যাপী খর্জারকুঞ্জ, তারপর ধূসর বালুময় এসড়িলনের মরুভূমি থাকে থাকে উঠেছে, কারণ, ওদিকটা পাহাড়। তার পরেই মরুভূমির মধ্যে দিয়ে জীর্ণকায়া নার-এল-মুকাত্তা নদী বয়ে চলেছে। a