পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शर्डभान भक्षूंब्रिग्रा Š ጳ সোলুন অঞ্চলের পাৰ্বত্য প্রদেশে মাঞ্চ-মোঙ্গোল জাতি বাস করে-এর এক অদ্ভুত জাতি। জনৈক মোঙ্গোল সর্দারের সঙ্গে একজন মাঞ্চ রাজকন্যার বিবাহ হয়। সেই রাজকন্যার অনুচরগণের বংশ হচ্ছে এই মাধু-মোঙ্গোল । টাওয়ান নগরে আমরা দীর্ঘকাল ছিলাম। সোলুন পৰ্ব্বতের পাদদেশস্থ একটা বড় প্রদেশের রাজধানী হিসাবে টাওয়ান অল্প কয়েক বছরের মধ্যে খুব উন্নতিলাভ করেছে। আমরা একটা ছোট সরাইয়ে ছিলাম-এই সরাইএর মালিক এক সময়ে বড় সেনাপতি ছিল-গৃহযুদ্ধে তাদের দল হেরে যায় এবং এ লোকটা কোন রকমে প্ৰাণ নিয়ে পালিয়ে এখানে এসে সরাই খুলেছে। মাথুরিয়ায় এ ধরণের লোক অজস্র পাওয়া যায়-দিনকতক পরের লুণ্ঠপট করে বড়মানুষি করলে, আবার কিছুদিন পরে পথে দাড়ালো । আমাদের সরাইএর মালিক খুব সকালে উঠত এবং চাকরিবাকিরদের উপর চেচামেচি করে হুকুম জারি করত । তার ভয়ে চাকরের সর্বদা সম্বুস্ত, কখন কি বলে বসে মালিক তার ঠিক নেই। আমাদের কামরার যে চাকর, তার নাম আর মাথুরিয়ার একটা বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাক্ষের নাম একই-এই জন্যই বোধ হয় সরাইএর মালিক তাকে যখন তখন চীৎকার করে হুকুম করতে स्छiब्जबाख्छ | টাওয়ান সাহর রাতারাতি বড় হয়েছে। এ নগরটি মোঙ্গোল জাতির দেশের মধ্যে অবস্থিত। এই মোঙ্গোল জাতি পূর্বে মাথুরিয়ার অনেক প্রদেশ নিজেদের অধিকারে এনেছিল। মাধুদের সঙ্গে মিশে এর। চীনদেশ আক্রমণ ক’রে সেখানে মাধু সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। এ সব অনেক দিনের কথা । এখন চীনারা আবার মোঙ্গোলদের তাড়িয়ে সমগ্ৰ মাথুরিয়ায় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছে। টাওয়ান সহরের বাড়ীগুলি সবই পাকা, বড় বড় কঁাচের জানালা বসানো, দোকানো রেশমী বসু, সাবান, এসেন্স ইত্যাদি পাওয়া যায়-অধিকাংশ পণ্যই বিদেশী । টাওয়ান সহরের আশে পাশে দসু্যর উপদ্ৰব অত্যন্ত বেশী । জেনারেল চ্যাং শো-লিং আমাদের বলে। দিয়েছিলেন যে, মোটর গাড়ী ভিন্ন আমরা যেন কোথাও না। যাই। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, যখনই আমরা মোটরে বার হ’তাম-আমাদের আগে আগে একটা মোটর সাইকেল ছুটত—তার পেছনে একটা বড় লরি বোঝাই সৈন্য, তার পেছনে আমাদের গাড়ী এবং আমাদের গাড়ীর পেছনে আবার একটা লরি বোঝাই সশস্ত্র সৈন্যদল। আমাদের অগ্ৰবৰ্ত্তী মোটর সাইকেল ও লরির ধূলো খেতে খেতে আমাদের অবস্থা হয়ে উঠত শোচনীয়, যেন বাইবেলে বৰ্ণিত গল্পানুযায়ী ইস্রায়েলের পুত্ৰগণ ঈশ্বর-প্রেরিত মেঘের স্তম্ভের অনুসরণ করে ইজিপ্টে চলেছেন। দসু্যর উপদ্রব সত্যিই এত বেশী যে, আমরা প্রতি রাত্ৰেই সহরের বাইরে সৈন্যদের সঙ্গে তাদের গুলি চালাচালির শব্দ শুনতে পেতাম। দাসু্যরা লুণ্ঠপট করে সোলুম পৰ্ব্বতের মধ্যে কোথায় যে লুকিয়ে পড়ত, আর তাদের কোন সন্ধানই হ’ত না । আবার কখনো কখনো অশ্বারোহী সৈন্যদল দাসু্যদের বন্দী করে নিয়ে নগরের মধ্যে ভেঁপু। মিঃ নি-ই-উ'র সিগারেটখের বাচ্চ ( প্ৰবন্ধ দ্রষ্টব্য) ।