পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दर्डभान भांभूब्रिश। २के কোন মোঙ্গোল-তাবুতে ঘোড়ায় চড়ে যাওয়া নিরাপদ নয়-তা হ’লে কুকুরের দল ছুটে এসে সওয়ারকে ক্ষত-বিক্ষত করে দেবে। চাবুক মারলেও তারা ভয় পায় না বা ফেরে না-জিনের উপরে লাফিয়ে উঠতে চায়, ঘোড়ার মুখে কামড়াতে যায়। এই জন্যে নিয়ম হচ্ছে এই যে, দূর থেকে চীৎকার ক’রে বলতে হবে, “আমরা যাচ্ছি, কুকুর সামলাও”। তখন তাবুর লোকেরা বেরিয়ে এসে কুকুর বাঁধবে। তুমি যে দামু বা আক্রমণকারী শত্রু নও, এ থেকে তারা তা বুঝতে পারবে । মোঙ্গোলেরা তাদের তাবুকে এত ভালবাসে যে, যে সব জায়গায় তারা বাড়ীঘর বেঁধে বাস করেছে, সে সব জায়গাতেও তারা বাড়ীর সঙ্গে চামড়ার গোল তাবু অনেক দিন পৰ্য্যন্ত রেখে দেয়-যখন তঁবু ছিড়ে যায়--তখন তার চারপাশে কাদা দিয়ে লেপে তাকে ভাড়ার-ঘর হিসাবে ব্যবহার করে। মোঙ্গোলদের জীবন খুব স্মৃষ্ট্রির ব্যাপার নয় আদৌ। দুর্ভিক্ষের উৎপাত, প্লেগের উৎপাত, দস্যর উৎপাত, আগুনের উৎপাত এ সব তো লেগেই আছে, তা ছাড়া আছে, উকুন ও মাছির উৎপাত। আমি একবার একজন মোঙ্গোল কৃষকের তাবুতে দিন কয়েক ছিলাম। শীতকালে সে লোকটা পশম ও ভেড়ার চামড়ার ব্যবসাও চালাতো ! তার হাতে দু' পয়সা আছে, কিন্তু সে গল্প করলে গ্ৰীষ্মকালে মাছি ও উকুনের উপদ্ৰৰো রাত্রে ও দিনে ঘুম হওয়া অসম্ভব। সারা গ্ৰীষ্মকাল ধরে শুধুই গা চুলকানো ছাড়া অন্য কোন প্ৰতিকার নেই এর । শীতের রাত্রে এদের বিছানায় শুয়েছিলাম। আগুনে তাতানো ইটের ওপর কম্বল পাতা-এই হ’ল বিছানা। আমার সঙ্গে একজন চীনা রাজকৰ্ম্মচারী ছিলেন, তিনি শোবার আগে গায়ের জামা অনুসন্ধান ক’রে তার মধ্যে কয়েকটা বড় বড় উকুন পেলেন। তারপর লম্ব আফিমের পাইপটি ধারালেন-আমায় বললেন, “বড় শীত, আসুন দু’ এক টান দিন না ? কি জানেন, আফিমের ধোঁয়ায় উকুনের উৎপাত কম থাকে।” অদ্ভুত বিশ্বাস বটে। শীতকালে মাথুরিয়ার সর্বত্র মোটরবাস যাতায়াত করে। এ দেশের মোটরবাস দেখতে ভারী মজার। কাঠামোটা ফোর্ড মোটরের, কিন্তু তার উপরে এরা নিজের পছন্দ ও পুসিমত গাড়ী বানায়-মনে হয়, একটা চীনা জাঙ্ককে একটা ফোর্ড এঞ্জিন টানছে, মালে ও ধাত্রীতে এক একটা বাস। এমন ভৰ্ত্তি করে যে সকলেই না নামলে কেউ গাড়ী থেকে নামতে পারে না ! . শীতের শেষে আমরা কিরিন প্রদেশে পৌছুলাম। সেখানকার শাসনকৰ্ত্তা আমাদের খুব খাতির করলেন। কারণ আমরা চ্যাং শো-লিংএর চিঠি নিয়ে গিয়েছিলাম। রাস্তার লোক অবাক হয়ে আমাদের চেয়ে দেখত। আমরা মাধুভাষা শিখবার জন্য একজন শিক্ষক খুঁজলাম-প্ৰথমটা সকলেই আমাদের এমন সন্দেহের চোখে দেখলে যে, শুনলাম সমগ্ৰ কিরিন প্রদেশে মাধুভাষা শেখাবার শিক্ষক একজনও নেই-সব মারা গিয়েছে। অবশেষে শাসনকৰ্ত্তার বিশেষ পরোয়ানা আনিয়ে তার বলে আমরা মিঃ নি-ই-উ অর্থাৎ গরু’ নামধারী জনৈক মাঞ্চ স্কুলমাষ্টারকে খুঁজে বার করলাম। নাম যাই হোক, লোকটা বুদ্ধিমান-দু’। রাত্রির মধ্যে মিঃ নি-ই-উ আমাদের তেরশো অক্ষর চিনিয়ে এবং মুখস্থ করিয়ে रिश्नछिल । DBDDBB B D BBBDB DB DBB BDD BBDBD DDYD DDDuSgB DB B DB DDDBB শিশুটি। আমরা যখনই সিগারেট ধরাবো, সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটা সিগারেট দিতে হবে- সে ধরিয়ে টানতে থাকবে। আর তার বাবা সস্নেহে তার পিঠ চাপড়ে বলবে, “বেশ বাচ্চা, বেশ, বেশ ”