পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিভিয়া VO) কোনো শাখা বেরিং প্ৰণালীর পথে আমেরিকা মহাদেশে এসেছিল, তারাই টিয়া-হুয়া-নাকে সহর স্থাপন করে- এদেয় সভ্যতা ইউকাতানের মায়া-সভ্যতার সমসাময়িক । এসিয়াবাসী মোঙ্গোলদের সঙ্গে বৰ্ত্তমান আয়মারা ইণ্ডিয়ানদের আকৃতিগত সাদৃশ্য, আছে। নৃতত্ত্ববিদগণও এই সাদৃশ্য লক্ষ্য করেছেন। মোঙ্গোলদের মত এদের চোখ ছোট ও টেরা, গালের হাড় উঁচু, নাক বস। . এদের মুখেও দাড়ি গোপ - 难 ་་ .གཅན། খুব কমই হয়।. অনেকের মতে পুরাকালে দক্ষিণ-আমেরিকার চেহারা ছিল অন্য রকম। দক্ষিণ-আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটা প্ৰকাণ্ড ভূমিভাগ প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অনেক দূৱ পৰ্যন্ত বিস্তৃত ছিল -- কালক্রমে এই অংশ সমুদ্রের মধ্যে বসে যায়, দক্ষিণ প্ৰশাস্ত মহাসাগরে বর্তমানে যে সকল অসংখ্য ছোট বড় দ্বীপ দেখা যায়।--তারা এই অন্তহিত। মহাদেশের সর্বোচ্চ স্থান-পাহাড়, মালভূমি ইত্যাদি। এই প্রাকৃতিক সেতুপথে এশিয়ার অনেক প্রাচীন জাতি টিয়া-হুয়া-নাকে সহরের সংগৃহীত ধ্বংসাবশেষের একটি সুন্দর নিদর্শন। BBBDDS STBD DBD S S DDDDS DBBDDB Dk সুস্পষ্ট বুেখে গিয়েছে। হয় তো মায়া-সভ্যতার সম্বন্ধেও ५थं ळ ऴ ! টিয়া-হুয়া-নাকোর ধ্বংসস্তুপে যে দুটি সভ্যতার ছাপ আছে, তাদের প্রথমটির চেয়ে দ্বিতীয়টি অনেক উন্নত ছিল। দ্বিতীয় সভ্যতার যখন বিস্তারকাল, তখন এখানে লাল বেলে-পাথরের বড় বড় প্ৰতিমূৰ্ত্তি তৈরী হয়-গ্রানাইটের অনেক সুক্ষ্ম খোদাই কাজও এই সময়ের। প্ৰথম যুগের সঙ্গে দ্বিতীয় যুগের একটা বড় তফাৎ এই যে, প্ৰথম যুগে যে পাথর শিল্প-কাৰ্য্যে ব্যবহৃত হয়েছে, আজকাল সে পাথর বলিভিয়ায় কোথাও পাওয়া যায় না ; অনেক দূর থেকে সে সব পাথর আনতে হয়েছিল-কিন্তু দ্বিতীয় যুগে ব্যবহৃত পাথর স্থানীয় পাহাড় থেকে কেটে বার করা হয় । দ্বিতীয় যুগের শেষের দিকে একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়। বহুসংখ্যক স্তম্ভ, মূৰ্ত্তি, মন্দির আধ-তৈরী “প্রাচীন যুগের একটি দেবমূৰ্ত্তি এখনও খাড়া দাঁড়িয়ে আছে, মূৰ্ত্তির মুখ অবস্থায় পড়ে আছে-মনে হয় যেন হঠাৎ কোনো রাজচোখ নাক কিছুই নৈই"(পরপৃষ্ঠা )। নৈতিক বা প্ৰাকৃতিক বিপৰ্য্যয় ঘটেছিল, যার ফলে শিল্পীরা তাদের হাতের কাজ আর শেষ করতে পারে নি---এসব ফেলে হঠাৎ চলে যেতে বাধ্য হয়। এই ঘটনাটি কি তা আজ জানিবার কোনো উপায় নেই-কিন্তু এই রকম ষে কিছু একটা ঘটেছিল, তা অনুমান করবার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। আর একটা অদ্ভুত