পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরওয়ের পল্পী (s মেয়েট তখন লাঠিগাছটা একটু নীচু করে ধরেছিল। কিংবা হয়তো আমার চোখের ভুল। যাই হোক, ছেলেটীর সঙ্গে মেয়েট সারা রাত নাচলে । নাচ আর গান থামবার নাম নেই ৷ হলের মধ্যে বেজায় গরম। আমি বাইরে এসে দাঁড়ালাম, দুপুর রাত পার হয়ে গিয়েছে, উত্তর দিকের পাহাড়ের আড়ালে তখনও সুৰ্য্যাস্তের রঙীন আভা মেলায় নি, ঘণ্টা দুই পরেই আবার সুৰ্য্যোদয় হবে। রাত সাড়ে তিনটার সময় আমি অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। রাসনার স্বামী বললে-চল আমরা সাপ ঘাই । আবার সকালে উঠেই মাঠের কাজে বেরুতে হবে। * আমরা যখন পথে বেরিয়েছি, তখন তরুণ তপনের সোণালী আলোয় পৰ্বতশিখর রঞ্জিত হয়ে উঠেছে । ভোরের বাতাসে শিশির ও বনফুলের চ্যু- ১ + ... . . . . . গন্ধ । আমি বাড়ী ফিরে এসে পালক उद्ध शङ्गि विछीनांध प्रश्न कॉल (श् প্রসারিত করে দিয়েছি, আমার শয়নগৃহের জানালার বাহিরে চেরি গাছে পাখীরা তখন কলধ্বনি করে উঠল। • ঘুম ভেঙে উঠে দেখি রাসনা নিজে আমার জন্য কফি আর কেক এনেছে । 6बांधारे 4 ब्रक्ष श् । शऊ-भूं भूष्भ পোষাক পরে ব্রেকফাষ্ট খেতে যাই । তখন আরও কফি দেয়, তার সঙ্গে থাকে কুটী, মাখন, মাছ, সসেজ ও ছাগলের দুধের পনির। ব্রেকফাষ্ট খাওয়ার পরে বেলা এগারটা পৰ্য্যন্ত ক্ষেত-খামার ও ঘর-গৃহস্থালীর কাজ হয়। তারপর আবার ঠিক সকালের মত গুরুভোজন। বেলা দেড়টার সময় মধ্যাকু-ভোজন অন্তে সবাই একটু ঘুমিয়ে নেয়। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে আর একবার কফি ও কেক্‌ খেয়ে যে যার কাজে বেরুবে। রাত আটটা বা নটায় এদের নৈশ-ভোজন। সে সময়ে শুধু বড় এক বাটী ভাজা যবসিদ্ধ ছাড়া আর কিছু খাওয়ার নিয়ম নেই। নৈশভোজন শেষ করে আমরা সেলাই করি বা বুনি। সংসারে ব্যবহৃত মোজা, দস্তান, সোয়েটার ইত্যাদি সবই বাড়ীতে বোনা ও রিপু করা হয়। রাসনার মেয়ে টেবিলে বসে দুলে দুলে পড়া মুখস্থ করে। বৃদ্ধ ঠাকুরদাদ। আমাদের কাছে বসে গল্প বলে। এখানে শীতকালের শোভা অবর্ণনীয়। পৰ্ব্বতের উপত্যকারাজি শুভ্ৰ তুষারে আবৃত হয়, দিনে হরিদ্রাভি স্বৰ্য্য কিরণে তাদের নানারকম রং দেখা যায়। কিন্তু শীতের সুদীর্ঘ রাত্রির জ্যোৎস্নালোকে তুষার মণ্ডিত পৰ্বত শিখর, উপত্যকা ও নিম্পত্র বৃক্ষরাজির যে শোভা হয়, তা যেন সম্পূর্ণ অপার্থিব ও অবাস্তব। চোখে না দেখলে তা বুঝাবার উপায় নেই। A. s 貂鲇 6 ي • *

  • リ A 3

নরওয়ে কৃষাণ-জীবন : পিতামাতার সহিত শিশুরাও শাস্তা-ক্ষেত্রে কাজ করে।