পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্যারিস হইতে স্থলপথে কাশ্মীর ১৯৩১ সালে ইউরোপ হইতে একদল বৈজ্ঞানিক স্থলপথে মোটরযোগে সিরিয়া, ইরাক, পারস্য ও আফগানিস্থান হইয়া কাশ্মীর আসেন। ডাঃ মেনার্ড উইলিয়ামস এই দলের রিপোর্টার ও জর্জেস হার্ড দলপতি ছিলেন। ইহারা ভ্ৰমণ করেন। অবশ্য মোটরযোগে, মাঝে মাঝে যেখানে জল আছে, মোটরশুদ্ধ ষ্টীমারে পার হন। স্থলপথে মোটরে আসবার সুবিধা অসুবিধা কি রকম, মিঃ উইলিয়ামস এ সম্বন্ধে একটি প্ৰবন্ধ লিখেছেন। তার সেই প্ৰবন্ধ থেকে নীচে কিছু উদ্ধৃত করা গেল। "আমরা যাত্রা সুরু করি প্যারিস থেকে। অনেক বড় বড় খবরের কাগজের প্রতিনিধিরা এসে আমাদের তুলে দিয়ে গেল Gare de Lyon ষ্টেশনে। রুমাল ওড়াতে লাগল, গাড়ী ছাড়লে, ফটো নেওয়া হোল, বক্তৃতা হোলসে এক হৈ হৈ ব্যাপার। ইউরোপের কথা বেশী বলবো না, ভূমধ্য সাগর পার হয়ে আমাদের প্রকৃত যাত্রা আরম্ভ - -- ཤཱ་ཡ་ པ་ ཡ་མ་འཁས་ ་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་,་ལ་ :.,, : হোল বাইরুৎ থেকে। এখানে আমাদের এবারকার এই ভ্রমণের উপযোগী করে বিশেষভাবে তৈরী করা ছ’খানা সিট্রিয়েন গাড়ী আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছিল। দুখানাতে মালপত্র, তবু ইত্যাদি বোঝাই । সিরিয়া ও ইরাকের মরুভূমি পার হতে হবে বলে একখানা মোটর গাড়ীতে ছিল শুধু পানীয় জলের ট্যাঙ্ক-বাকী চারখানাতে আমাদের থাকবার, রাধবার, শোবার ব্যবস্থা ছিল। BDD BB DBBBD D gE DBD DDD মোটরে সাহারা মরুভূমি পার হয়ে, আফ্রিকার ঘন জঙ্গল পার হয়ে কায়রো থেকে কেপটাউনে গিয়েছিলেন। ১৯২৪ সালে । এ ধরণের ভ্রমণ সম্বন্ধে তঁর অভিজ্ঞতা যথেষ্ট, সব বিষয়েই তিনি আমাদের নায়ক হবার উপযুক্ত। লেবানন পৰ্বতের উপর দিয়ে আমাদের মোটরের পথ চলেছে। পাশে কোনো কোনো স্থানে গভীর পড়া, মাঝে মাঝে লেবাননের বিখ্যাত সিডার বৃক্ষের বন। পথ খুব ভাল, কেবল একটু মুস্কিল হয়ে পড়ে যখন সামনের দিক থেকে আর একখানা মোটর এসে পড়ে—সে সরু রাস্তার পাশাপাশি দুখানা মোটর যাওয়া এক রকম অসম্ভব। মাথার ওপরে তুকী গবৰ্ণমেণ্টের এরোপ্লেন উড়ছিল—তারা সঙ্কেতে তাদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করলে । এন্টিলেবাননে নেমে এসে বারাডা নদীর ধারে আমরা তাবু ফেললাম। বারাডা নদী খুব বড় নয়, তবে স্রোত অত্যন্ত প্রখর। এখানে গরম নেই, বড় বড় ওক আর সিডার গাছের শীতল ছায়। নদীর ধারে । রাত্রে ঘুমিয়ে আরাম হল। সকালে উঠে বাজারে বেড়ালাম-যথেষ্ট তরমুজ, আঙ্গুর বিক্ৰী হচ্ছে, আরও নানা ধরণের প্রাচ্যদেশীয় ফলমূল, সব চিনি নে। এখানে বিখ্যাত বীর সালেউদ্দীনের সমাধি আছে, অনেক ভেঙে চুরে গিয়েছে। ৮ই এপ্রিল আমরা আবার রওনা হলাম। স্পাহী সৈন্যদল যুদ্ধের পোষাক পরে বাজনা বাজাতে বাজাতে আমাদের এগিয়ে দিয়ে গেল নগরের বাইরে অনেকটা পৰ্য্যন্ত। ফরাসী দুৰ্গাধ্যক্ষ আমাদের শুভেচ্ছা জানালেন। রাস্তায় পারস্তের পণ্য ; পাশাপাশি মোটরগাড়ী ও গর্দভচালিত শকটবাহিনী এ পথের সর্বত্র দেখা যায়। "