ভেজাল ও নকল
নন্দ গোয়ালা দুধে খুব জল দিচ্ছে। আপত্তি জানালে আকাশ থেকে পড়ে উত্তর দিলে, বলেন কি বাবু, আপনি পুরনো খদ্দের, আপনাকে কি ঠকাতে পারি? পাপ হবে যে।
বললাম, দেখ নন্দ দুধে অল্প স্বল্প জল থাকলে আমি কিছুই বলি না, কিন্তু এখন বাড়াবাড়ি হচ্ছে। তোমার সঙ্গে আমার বহু কালের সম্পর্ক। সত্যি কথা বলে ফেল।
নন্দ লোকটি সজ্জন। মাথা চুলকে বললে, আজ্ঞে, সের পিছু মোটে আধ পো জল দিই, পরিষ্কার কলের জল। আমার কাছে তঞ্চকতা পাবেন না।
—নন্দ, আর একটু সত্যি করে বল।
—আজ্ঞে, এক পোর বেশী জল কোন দিন দিই না, আমার এই গলার কষ্টির দিব্যি।
এবারে বোধ হল নন্দ সত্য কথা বলেছে। জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা, একবারে খাট দুধ কি দরে দিতে পার?
—আজ্ঞে, টাকায় তিন পো দিতে পারি।
—বরাবর খাটী দেবে তো? হাত সুড়সুড় করবে না?
—তা কি বলা যায় হুজুর? মাঝে মাঝে একটু জল না দিলে চলবে কেন, গরিব লোক।
—আচ্ছা, যদি সরকার আইন করে দেয় যে দুধের দাম যত খুশী বাড়াতে পার কিন্তু জল একদম দিতে পাবে না, দিলে মোটা জরিমানা বা জেল হবে, তা হলে কি করবে?