পাতা:বিজন-বিজয়া - আশুতোষ দাশ গুপ্ত.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৈৰ্য্যহীনতাই আমার সকল শক্তি অপহরণ করিল। যখন এইরূপ জীবন-মরণের সমস্যার সময়ে সংসার-সাগরে ভাসিতেছি।--তখন আমার পরীক্ষার সময় আসিল ও উত্তীর্ণ হইয়া গেল। পরীক্ষা দিতে পারিলাম না । এত কষ্ট করিয়াও যে আশায় বুক বধিয়াছিলামতাহার একটিাও সফল হইল না । পুত্ৰশোকের সহিত এই শোক মিশ্রিত হইয়া আমাদিগকে আরও কাতর করিল । আমি মা ও স্ত্রীকে সেনহাটী রাখিয়া এক ধুতি এক চাদর লইয়া চাকরীর চেষ্টায় রঙ্গপুর আমার মাতুল শ্ৰীযুক্ত প্রিয়নাথ গুপ্ত মোক্তার মহাশয়ের নিকট চলিয়া গেলাম। ইচ্ছা,-চাকরী করব ও ‘প্রাইভেটু” ভাবে পরীক্ষা দিব । কিছুই হইল না। ;-কর্ণধারহীন তরণীর ন্যায় অনেক ভাসিয়া ভাসিয়৷ পরিশেষে দিনাজপুরে কালেকটারি আফিসে প্ৰবেশ করিলাম । আহারাদির খরচ ও অন্যান্য খরচ প্ৰায় সমস্তই সেনহাটী নিবাসী দাদা শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্র রায় বি. এল, উকীল ও শ্ৰীযুক্ত ভুপালচন্দ্র সেন মহাশয়ের সাহায্যে চলিতে লাগিল । ইহাদের নিকট এত প্রকারে উপকার পাইয়াছি যে সে ঋণ আমি কখনও পরিশোধ করিতে পারিব না। যাহা হউক, আমার জীবনের এ অধ্যায়ের সহিত আমার স্ত্রীর জীবনের তত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নাই ; কাজেই এ বিষয়ে অধিক লেখা दाछठा भाद्ध । ইংরাজী ১৯০২ খৃষ্টাব্দের ২৭ শে জুন রাত্ৰি ১১টার সময়ে আমার একমাত্র অবশিষ্ট বৃদ্ধ, রুগ্ন, খুল্লতাত পূৰ্ণচন্দ্ৰ মহলানবীশ মহাশয়ের মৃত্যু হয়। ভঁাহার মৃত্যুর পর দাদা কেবল নিজের স্ত্রী ও সন্তান কয়েকটা লাইয়া পৃথক হইয়া যান ; সংসারের অপর সমস্ত ভার আমার উপরে পড়ে। আমার পরিবারে মা, স্ত্রী, খুড়ী-মা, নিজের ছোট ভাই, দুইটী খুল্লতাত ভাই, একটা খুল্লতাত ভগ্নী। অল্পদিন পরে আবার