পাতা:বিজন-বিজয়া - আশুতোষ দাশ গুপ্ত.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مه لوها ইহার পরে মৃত্যুর ২ মাস পূর্বে এক জ্যোতির্বিদ পণ্ডিত হাত দেখিয়া বলিয়াছিলেন

    • ৩ ও হইতে ৩৫ বৎসর বয়সের মধ্যে স্ত্রী-বিয়োগ হইবে।” সকলের মুখেই এক কথা শুনিয়া প্ৰাণে কতকটা সন্দিগ্ধ বিশ্বাস রাখিয়া ও আমরা উভয়ে ক’ত আশার তুফানে হাসিয়া নাচিয়া চলিতে ছিলাম ! ঠিক ৩০ বৎসর পূর্ণ হইতে ৪টি মাস বাকী থাকিতেই জ্যোতিষীগণের ভবিষ্যৎ-বাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলিল । সৰ্ব্বস্ব দিয়াও অামি তাহার প্রতিবিধান করিতে পারিলাম না ! !

সংসারের লক্ষ্মীস্বরূপিণী অাদিশ রমণীরূপে আমি এই কৌস্তুভ মণি হৃদয়ে ধারণা করিয়াছিলাম। একাধারে যেমন সৌন্দৰ্য্য তেমনি গুণ রাশি । স্বদেশে বিদেশে যে একবার তাহার হাসিময় মুখখানি দেখিয়াছে ও তা হার সহিত ক্ষণকালের নিমিত্ত ও মিশিয়াছে- সে আর তাহাকে ভুলিতে পারে নাই। বিজনের মৃত্যু সংবাদে না কঁাদিয়াছে এমন লোক অামি দেখিতে পাই নাই ! এখনও যে তাহাকে স্মরণ করে তাহারই প্ৰাণে যেন তা হার অভাব-দুঃখ নূতন হইয়। জাগিয়া উঠে । দরিদ্র গৃহস্থ পরিবারে অসহ্য কষ্ট সহ) করিয়াও সৰ্ব্বদা তেমন হাসিমুখে দিন কাটাইতে অতি কম লোকেই পারে। অন্নবস্ত্রের নিমিত্ত অসহ্য কষ্ট পাই য়া সেরূপ আত্ম অবস্থায় সম্পূর্ণ সন্তোষ অনুভব করিবার শক্তি বিধা তার বিশেষ অনুগ্রহ বা তীত কে হই লাভূক্ত করিতে পারে না ! তাহার। আপু একটা এমন আশ্চৰ্য্য শক্তি ছিল যে আমার প্রতিবেশী গণ মাসিক ৩০২ ব্যয় করিয়া যেরূপ সংসারের ও আহারাদির বন্দোবস্ত করিতেন, মাত্ৰ ২০, ২২ টাকা হইলেই সে ঠিক তদনুরূপ বন্দোবস্ত করিতে পারিত। প্ৰতিবেশীগণ ইহাতে আশ্চৰ্য্য বোধ করিতেন ;