X 8 e বিজয়া তৃতীয় অঙ্ক হয়ে যাবেন । দেখচেন না এই ক’মাসের মধ্যেই কি-রকম রোগ হয়ে গেছি। আমার বাসায় বামুন ব্যাট হয়েছে যেমন পাজি, তেমনি বদমাইস জুটেছে চাকরটা। সাত সকালে রোধে রেখে কোথায় যায় তার ঠিকানা নেই। আমার কোন দিন ফিরতে হয় ফুটে, কোন দিন বা চারটে বেজে যায়। সেই ঠাণ্ড৷ কড়কড়ে ভাত—দুধ কোন দিন বা বেড়ালে খেয়ে যায়, কোন দিন বা জানালা দিয়ে কাক ঢুকে সমস্ত ছড়া-ছড়ি করে রাখে, —সে দেখলেই ঘৃণা হয়। অৰ্দ্ধেক দিন তো একেবারেই খাওয়৷ হয় না । বিজয়া। এমন সব চাকর-বাকরদের দূর করে দিতে পারেন না ? নিজের বাসায় এত টাকা খরচ করেও যদি এত কষ্ট, তবে চাকরি করাই বা কেন ? নরেন। এক হিসেবে আপনার কথা সত্যি। একদিন বাক্স থেকে কে দুশো টাকা চুরি করে নিলে, একদিন নিজেই কোথায় একশো টাকা হারিয়ে ফেললুম, অন্যমনস্ক লোকের পদে-পদেই বিপদ কি না । (একটু থামিয়া ) তবে নাকি দুঃখ কষ্ট আমার অনেকদিন থেকেই সয়ে গেছে, তাই তেমন লাগে না। শুধু, অত্যন্ত ক্ষিদের ওপর খাওয়ার কষ্টট এক-একদিন অসহ্য বোধ হয় । বিজয়৷ আনতমুখে নীরবে শুনিতেছিল নরেন। বাস্তবিক, চাকরি আমার ভালোও লাগে না, পারিও নে। অভাব আমার খুবই সামান্ত--আপনার মতো কোন বড়লোক তুবেল ফুটি-ফুটি খেতে দিত, আর নিজের কাজ
পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।