পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক বিজয়া &t ও পণ রাখতে গেলে কি कि लैिंड इटा बानन ? শুধু ঐ নয়, এই বাড়ী, এই জমিদার, দাস-দাসী, আমলা, খাট-পালঙ্ক-টেবিল-চেয়ার, মায় তাদের মনিবটিকে পৰ্য্যন্ত আমার হাতে তুলে দিতে হবে। দেবেন এই সব ? পারবেন দিতে N নলিনী । ( সবিস্ময়ে ) বনমালীবাবুর আছে নাকি এই সব চিঠি । কই আমাদের তো কাউকে বলেন নি। নরেন। (হাসিয়া ) এ তামাস বলবো কাকে ? আমি কি পাগল ? কিন্তু চিঠির কথা যদি বলেন তো সত্যিই আছে বনমালীবাবুর চিঠি। সত্যি আছে এই সব লেখা। (আঙল দিয়া দেখাইয়া) ঐ ঘরটায় ছিল একতাড়া চিঠি একটা ভাঙা দেরাজের মধ্যে—বাবার চিঠি বলে দয়ালবাবু দিলেন আমার হাতে, পড়ে দেখি তাতে এই মজার ব্যাপার। জানেন তো, আমার বাবার বনমালীবাবু ছিলেন অকৃত্রিম বন্ধু। লেখাপড়ার জন্যে আমাকে বিলেতে পাঠিয়েছিলেন তিনিই । নলিনী । তারপরে ? নরেন । বিজয় বললেন, কই দেখি বাবার চিঠি : পকেটেই ছিল, ফেলে দিলুম সুমুখে । বাণ্ডিল খুলে ফেলে খুজতে লাগলো বুভুক্ষু কাঙালের মতো—হঠাৎ চেচিয়ে উঠলো—এই যে আমার বাবার হাতের লেখা । তারপরে চিঠি দুটো নিজের মাথায় চেপে ধরে চক্ষের নিমেষে যেন একেবারে পাথর হয়ে গেল। । নলিনী। তারপরে ?