চতুর্থ অঙ্ক বিজয়া ఆమె বিজয়। সন্ধ্যা হয়ে গেল, আমি এবার যাই মামীম। দয়ালের স্ত্রী । তোমার বিয়েতে আমি উপস্থিত থাকবোই। তা যত অসুখই করুক। নরেন বলে, বেশি নড়া-চড়া করা উচিত নয়। তা সে বলুক গে—ওদের সব কথা কুনতে গেলে আর বেঁচে থাকা চলে না। আশীৰ্ব্বাদ করি সুখী হও, দীর্ঘজীবী হও,—বিলাসবাবুকে চোখে দেখিনি, কিন্তু কৰ্ত্তার মুখে শুনি খাসা ছেলে । ( সহাস্ত্যে ) বর পছন্দ হয়েছে তো মা, নিজে বেছে নিয়েছে— বিজয়া । বেছে নেবার কি আছে মামীম ! মেয়েদের সম্বন্ধে সব পুরুষই সমান। মুখের ভদ্রতায় কেউ বা একটু হু'সিয়ার, কেউ বা তা নয়। প্রয়োজন হলে ফুটে মিষ্টি কথা বলে, প্রয়োজন ফুরোলে উগ্ৰমূৰ্ত্তি ধরে। ওর ভালো মন্দ নেই মামীম, আমাদের তুঃখের জীবন শেষ পর্য্যন্ত দুঃখেই কাটে । নলিনী । এ কথা বলা আপনার উচিত নয় মিস্ রায়। বিজয়া। এখন তর্ক করবে না, কিন্তু নিজের বিবাহ হলে একদিন স্মরণ করবেন বিজয়া সত্যি কথাই বলেছিল। কিন্তু আর দেরি নয়, আমি আসি। কানাই সিং—(নেপথ্যে)—মইজি— দয়াল। (ব্যস্তভাবে) অন্ধকার রাত, একটা আলে৷ এনে দিই মা । \ বিজয় । (হাসিয়া) অন্ধকার কোথায় দয়ালবাবু, বাইরে জ্যোৎস্নায় আকাশ ভেসে যাচ্ছে। আমরা বেশ যেত্বে পারবো, আপনি উদ্বিগ্ন হবেন না। নমস্কার। \ বিজয়া বাহির গেল
পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।