পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b-8 বিজয়৷ পঞ্চম অঙ্ক খেgনা যেন। জিজ্ঞাসা করলুম, কেন দয়ালবাবু ? বললেন, আমার ব্রত আছে। তুমি গিয়ে পা দিলে তবেই সে ব্রত সফল হবে। ভাবলুম, মন্দির তো ? হয়তো কিছু-একটা করেছেন। কিন্তু এমন কাণ্ড হবে জানলে স্বীকার করতুম না পরেশের মা । রাসবিহারী প্রবেশ করিলেন রাস। এ কি কাণ্ড ! এখনো যাওনি—চারটে বাজলে যে । পরেশের মা . পালকি পাঠাবার কথা, এখনো আসেনি। রাস । এমনই তার কাজ। পালকি যদি সে না পেয়েছিল একটা খবর পাঠালে না কেন ? আমি জোগাড় করে দিতুম। মধ্যাহ্ন-ভোজন যে সায়াহ্ন করে দিলে। ভারি ঢিলে লোক, এই জন্যেই বিলাস রাগ করে। আবার আমাকেও পীড়াপীড়ি—সন্ধ্যার পরে যেতেই হবে। ছুটিয়া পরেশের প্রবেশ পরেশ। পালকি এসতেছে মা-ঠান। রাসবিহারীকে দেখিয়াহ সে সঙ্কুচিত হইয়া পড়িল রাস। বলিস কিরে? এসতেছে? তোরই মোচ্ছব রে । দেখিস পরেশ, নেমন্তর খেয়ে তোকে না ভুলিতে করে আনতে আনতে হয়। (বিজয়ার প্রতি ) যাও ম আর দেরি করে ন—বেলা আর নেই। গিয়ে পালকিটা পাঠিয়ে দিও—আমি আবার যাবো। না গেলে তে রক্ষে নেই, মান-অভিমানের সীমা থাকবে না। সে এ বোঝে না যে ছদিন রাদে আমার বাড়ীতেও উৎসব,—কাজের চাপে নিশ্বাস নেবার অবকাশ নেই