পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়ী পঞ্চম অঙ্ক שאל כל হবে বই কি । ভট্চাযিামশায়ের শাসন আজ না মানলেই নয়। নরেন তো না খেতে পেয়ে একেবার নিজ্জীব হয়ে পড়ে আছে। -fকরে-প্লৱেশ, তুই কি-ৰঙ্গিস্৭ একজন লোক ব্যস্তভাবে প্রবেশ করিল, তাহার হাতে - চেলীর জোড় প্রভৃতি মোড়কে বাধা লোক। (দয়ালের প্রতি) দান-সামগ্রী এসে পৌঁছেছে, আমি সাজাতে বলে দিলুম। বর-কন্যার চেলীর জোড় এই এল—নাপিতকে কেঁচাতে দিই ? | দয়াল। ই দাও গে। ক’টা বাজলো, সন্ধ্যার পরেই தி হয়—আর বেশি দেরি নেই বোধ করি। (বিজয়ার প্রতি) ভাগ্যক্রমে দিনক্ষণ সমস্ত পাওয়া গেছে,—না পেলেও আজই বিবাহ দিতে হতো, কিছুতে অন্যথা করা যেতে না,—ত যাক, সমস্তই ঠিক-ঠাক মিলে গেছে। তাইতে ভট্চাযিামশাই হেসে বলছিলেন, এ যেন বিজয়ার জন্তেই পাজিতে আজকের দিনটি স্বষ্টি হয়েছিল। তোমার যে আজ বিবাহ মা ! বিজয় । আজ আমার বিবাহ ? দয়াল । তাই তো আজ আমাদের আনন্দ আয়োজন, মহোৎসবের ঘট । বিজয় । (করুণ কণ্ঠে) তাপনি কি আমার হিন্দু-বিবাহ দেবেন ? দয়াল। হিন্দু-বিবাহ কি বিবাহ নয়ম ? কিন্তু সাম্প্রদায়িক মতবাদ মানুষকে এমনি বোকা করে আনে যে, কাল সমস্ত বৈকেলটা ভেবে ভেবেও এই তুচ্ছ কথাটার কুল-কিনারা খুজে