পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক বিজয়! చి রাস। দেখ বাবু, তোমার এই আত্মসম্মান-বোধটা দিন কতক খাটো কর, নইলে আমি তে। আর পেরে উঠি নে । বিয়েট হয়ে যাক, বিষয়টা হাতে আসুক, তখন ইচ্ছে মতো আত্মসম্মান বাড়িয়ে দিও আমি নিষেধ করব না । বিজয়ার প্রবেশ রাস। এই যে মা বিজয় ! বিজয় । আপনাকে আসতে দেখে আমি ফিরে এলুম কাকাবাবু। শুনে হয়তে আপনি রাগ করবেন, কিন্তু মোটে তিন দিন বইতো নয়, হোকগে গোলমাল—আমি অনায়াসে সইতে পাববো, কিন্তু গাঙ্গুলীমশায়ের দুর্গা পূজায় বাধা দিয়ে কাজ নেই । আমি অনুমতি দিয়েছি । রাস। সেই কথাই বিলাস আমাকে বোঝাচ্ছিলেন । বুড়ে মানুষ, শুনে হঠাৎ চঞ্চল হয়ে উঠেছিলুম যে ভবিষ্যতে এরকম পুনৰ্ব্বার ঘটলে তো চলবে না। তখন আত্মসম্মান বজায় রাখতে তোমার বিষয় থেকে নিজেকে তফাৎ করতেই হবে । কিন্তু বিলাসের কথায় রাগ গেছে মা ; বুঝেছি অজ্ঞান ওরা-করুক পুজে। বরং পরের জন্য দুঃখ সওয়াটাই মহত্ত্ব । আশ্চৰ্য্য প্রকৃতি এই বিলাসের। ওর বাক্য ও কৰ্ম্মের দৃঢ়তা দেখলে হঠাৎ বোঝা যায় না যে হৃদয় ওর এত কোমল । তা সে যাক, কিন্তু জগদীশের দরুণ বাড়ীট। যখন তুমি সমাজকেই দান করলে মা, তখন আর বিলম্ব না করে, এই ছুটির মধ্যেই এর সমস্ত আয়োজন সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে। কি বল ?