পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক বিজয়৷ 36t যাই করুক। আমি সত্য কথা কইতে ভয় পাইনে, সত্য কাজ করতে পেছিয়ে দাড়াইনে। রাস । তা বটে, তা বটে। তোমাকেই বা দোষ দেব কি ? আমাদের বংশের এই স্বভাবটা যে বুড়ে বয়স পর্যান্ত আমারই গেল না ! অন্যায় অধৰ্ম্ম দেখলেই যেন জ্বলে উঠি । বুঝলে না মা বিজয়া, আমি আর তোমার বাবা এই জন্যই সমস্ত দেশের বিরুদ্ধে সত্য ধৰ্ম্ম গ্রহণ করতে ভয় পাই নি । জগদীশ্বর তুমিই সত্য ! এই বলিয়। দুই হাত কপালে ঠেকাইয়া উদ্দেশে নমস্কার করিলেন কিন্তু দেখে। মা, আমি যাই হই তবু তৃতীয় ব্যক্তি । তোমাদের উভয়ের মতভেদের মধ্যে আমার কথা কওয়া উচিত নয়। কারণ, কিসে তোমাদের ভাল সে আজ নয় কাল, তোমরাই স্থির করে নিতে পারবে। এই বুড়োর মতামতের আবশ্যক হবে না । কিন্তু কথা যদি বলতেই হয় তো বলতেই হবে যে, এ ক্ষেত্রে তোমারই ভুল হচ্চে। জমিদারী চালাবার কাজে আমাকেও বিলাসের কাছে হার মানতে হয়, এ আমি বহুবার দেখেছি। আচ্ছা তুমিই বল দেখি কার গরজ বেশি ? আমাদেব না জগদীশের ছেলের ? ঋণ পরিশোধের সাধ্যই যদি থাকতো, একবার নিজে এসে কি চেষ্টা করে দেখতে না ? সে তো জানে তুমি এসেছ ? এখন আমরাই যদি উপযাচক হয়ে ডাকিয়ে পাঠাই, সে নিশ্চয়ই একটা বড় রকমের সময় নেবে। তাতে ফল শুধু এই হবে যে দেনাও শোধ হবে না, আর তোমাদের সমাজ-প্রতিষ্ঠার সঙ্কল্পও চিরদিনের মত ডুবে