পাতা:বিজয়া-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰg" বিজয়া প্রথম অঙ্ক বিজয় । একখানা চিঠি লিখে র্তার কাছে পাঠিয়ে দিন না। অামাব নিশ্চয়ই বোধ হচ্ছে তিনি শুধু অপমানের ভয়েই এখানে আসতে সাহস করেন না । রাস । ( বিদ্রুপের ভাবে ) মহা মানী লোক দেখছি । তাই অপমানটা ঘাড়ে নিয়ে আমাদেরই উপযাচক হয়ে তাকে থাকবার জন্যে চিঠি লিখতে হবে ? বিজয় । ( কাতর হইয়া ) তাতে দোষ নেই কাকাবাবু— অযাচিত দয়া করার মধ্যে লজ্জা নেই। রাস। (ঈষৎ হাসিয়া ) মা, তোমার জিনিস তুমি দান করবে আমি বাদ সাধবো কেন ? আমি শুধু এইটুকুই দেখাতে চেয়েছিলুম যে বিলাস যা করতে চেয়েছিল, তা স্বার্থের জন্যেও নয়,—রাগের জন্যও নয়, শুধু—কৰ্ত্তব্য বলেই করতে চেয়েছিল। একদিন আমার বিষয় তোমার বাবার বিষয় সব এক হয়েই তোমাদের দুজনের হাতে পড়বে। সেদিন বুদ্ধি দেবার জন্তে এ বুড়োটাকে খুজে পাবে না মা । বিলাসের প্রবেশ পরণে বিলাতী পোষাক, হাতে একটা ছোট ব্যাগ অত্যন্ত ব্যস্তভাবে— বিলাস । এই যে তোমরা । বাবা, এখনো বাড়ী যাবার সময় পাইনি, কলকাতা থেকে ফিরেই শুনলুম তোমরা এসেছে। নদীর তীরে বেড়াতে ৷ বেড়ানো ! বিরাট কাৰ্য্যভার মাথায় নিয়ে কি করে যে মানুষ আলস্তে সময় কাটাতে পাবে আমি তাই শুধু ভাবি। বাবা, এক রকম সমস্ত কাজই প্রায় শেষ