পাতা:বিজয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম দৃশ্য বিজয়ী ԳՓ) পুনরায় মুখ ফিরাইয়া শুইল রাস। (ব্যস্ত হইয়া ) বিলক্ষণ, যাকে তুমি ডেকে পাঠিয়েছ তাকে অপমান করে কার সাধ্য মা ? ( ক্ষণকাল পরে ) এ কথাও সত্যি বিলাস ! এই অসংঘত ব্যবহারের জন্য তোমার অনুতপ্ত হওয়া উচিত । মানি, সমস্তই মানি যে মা বিজয়ার অসুখের গুরুত্ব কল্পনা করেই তোমার মানসিক চঞ্চলতা শতগুণে বেড়ে গেছে, তবু-স্থির তো তোমাকে হতেই হ’বে। সমস্ত ভালমন্দ সমস্ত দায়িত্ব তো শুধু তোমারই মাথায় বাবা । মঙ্গলময়ের ইচ্ছায় যে গুরুভার একদিন তোমাকেই শুধু বহন করতে হ’বে —এ তো শুধু তারই পরীক্ষার সূচনা-( নিরেন নিঃশব্দে লাঠি ও ছোট ব্যাগটী তুলিয়া লইল ) নরেনবাবু, আপনার সঙ্গে একটা জরুরী কথা আলোচনা করবার আছে-চলুন । রাসবিহারী নরেনকে লইয়া রঙ্গমঞ্চের সম্মুপের দিকে আসিতেই মধ্যের পর্দা পড়িয়া রোগীর কক্ষটিকে সম্পূর্ণ আবৃত করিয়া দিল। উভয়ে মুখোমুখি দুইপানি চৌকিতে উপবেশন করিল রাস। পাঁচজনের সামনে তোমায বাবুই বলি, আর যাই বলি, বাবা, এটা কিন্তু ভুলতে পারিনে, তুমি আমাদের সেই জগদীশের ছেলে । নইলে তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হ’য়েছিলুম। এ কথা তোমার মুখের ওপর । বলে তোমাকে ক্লেশ দিতুম না । নরেন। যা সত্য তাই বলেছেন — এতে দুঃখ করবার কিছু নেই। রাস । না না, ও কথা বলে না। নরেন । কঠোর কথা মনে বাজে বৈ কি ? যে শোনে তার তো বাজেই, যে বলে তারও বড় কম বাজে না। বাবা । জগদীশ্বর ! কিন্তু তুমি বাবা, বিলাসের মনের অবস্থা বুঝে মনের মধ্যে কোনও ক্ষোভ রাখতে পারবে না । আর একটা অনুরোধ আমার এই রইলো, এদের বিবাহ তো সামনের বৈশাখেই হ’বে, যদি