পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> R दिछझ-दमख् । সুকুমারী মুখ উন্নত করিয়া দৃষ্টি করিলেই যেন লজ্জিত হইয়া উভয়ের নেত্র-পুত্তলিকার মধ্যে প্রবেশ করিলেন। কিন্তু পক্ষপুটদ্বয় নিমিষ। পরিগ্রহ করাতে র্তাহাদিগের সেই অভিসন্ধি বিফল হইল। এই সময় স্বপ্নদর্শিত সমুদয় ভােব মূৰ্ত্তি পরিগ্রত করিয়া সুকুমারীর হৃদয়-মন্দির অধিকার করিল। সুতরাং তিনি ধৈৰ্য্য ধরিতে না পারিয়া বসন্তকুমারের পরিচয় গ্ৰহণ নিমিত্ত পদে পদে তাহার নিকটবৰ্ত্তিনী হইতে লাগিলেন । তখন উমা সুকুমারীর গাত্রে অঙ্গুলি স্পর্শ দ্বারা কছিলেন, অয়ি অভিসারিকে । আত্মগুণ সঙ্কলি বিস্মৃতি হইলে । সুকুমারী লজ্জায় নম্রমুখী হইয়া আর অগ্ৰবৰ্ত্তিনী হইতে পারিলেন না, সেই মনোমোহন রূপ মনোমধ্যে ভাবিতে ভাবিতে গৃহে প্ৰতিগমন করিলেন। বসন্তকুমার সুকুমারীয় আদর্শনে, চিরপ্রণয়িনীর আদর্শনের ন্যায়, জৰ্জরীভূত হইয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন, এই অপরিচিত প্ৰতীপদশিনীকে দর্শন করিয়া আমার অন্তঃকরণ চিরবিরহীর ন্যায় ব্যাকুল হইতেছে । আহা ! মনের কি আশ্চৰ্য্য दिकांद्र ! সুকুমারী নৃত্যমণ্ডপে প্ৰিয়সখীগণকে ডাকিয়া কহিলেন, সখি চন্দ্ৰিমে ! স্বপ্ন যেন প্ৰত্যক্ষ হইল। কিন্তু তদর্শিত সমস্ত ভাব বাস্তবিক কি অলৌকিক, তাহা জানিতে মন একান্ত ব্যাকুল হইতেছে । উমা কহিলেন, সুকুমারি! সূৰ্য্যোদয়ে অন্ধকার বিনাশ হইয়া থাকে, এবং কমল বিকসিত হইলে অবশ্যই তাহার সৌরভ বিস্তীর্ণ হয়, তজ্জন্য গৌণ কাল অপেক্ষা করিতে হইবে