পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ। 8ዓ এ পাপ আমার সম্মুখে কেন রাখিয়াছিস্ ? বিজয়চন্দ্র রাজার তজনে কঁাপিতে কঁাপিতে কহিলেন, পিতঃ ! আমিই যেন আপনার চরণে অপরাধী হইয়াছি, আমাকে যাহা ইচ্ছা তাহাই করুন ; কিন্তু বসন্ত অতি শিশু, সে কোন অপরাধ করে নাই, তাহার প্রাণদণ্ড করা কখন বিচারসঙ্গত হইতে পারে না। একবার সদয়নয়নে দেখুন, বসন্ত ভয়ে ভীত হইয়া গাভীহারা বৎসের ন্যায় চতুর্দিকে চাহিতেছে ; নগরপালের কঠিন বন্ধনে উহার দুটী হস্তের চৰ্ম্ম ভেদ হইয়া রক্তধারা নির্গত হইতেছে, যাতনায় চাদমুখ মলিন হইয়া গিয়াছে, দুটী চক্ষে সঘনে ধারা বহিতেছে। পিতা হইয়া সন্তানের দুঃখ কেমন করিয়া দেখিতেছেন। আপনার কিঞ্চিৎ দয়াও হয় না ? সেইরূপ সদয় হৃদয় কি এক্ষণে পাষণে বধিয়াছেন ? নতুবা পিতা হইয়া কিরূপে নিরপরাধ সন্তানের প্রাণদণ্ড করিতে উদ্যত হইতেছেন ? বিজয়চন্দ্র এইরূপ সকরুণবাক্যে রোদন করিতেছেন ; বসন্তকুমার সহসা রাজার সন্নিহিত হইয়া মৃদুস্বরে কহিলেন, বাবা । ঐ নগরপাল আমাকে বেঁধেছে, দেখ বাবা ! আমার হাত দিয়ে কেমন করে রক্ত পড়িতেছে। উহারা কেহই খুলে দিল না, আপনি শীব্র খুলে দিন। নগরপাল আমাপানে বারে বারেই কেমন করে চাচ্চে, ও বুঝি আমাকে আবার বঁধিবে, আপনি শীঘ্ৰ কোলে করুন, তা হলে ও আর বঁাধিতে পারবে না। এইরূপ কহিয়া রাজার কোলে উঠিতেচ হিলে, রাজা হস্ত ধরিয়া ভূমে নিক্ষেপ করিলেন। বসন্তকুমার পিতার নিকটে অনাদৃত