পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। ዓ ዓ ভোজন করাইতেন। পালিত পশু ও রোপিত বৃক্ষলতাদির তত্ত্বাবধান নিজে করিতেন। প্ৰতিবাসিগণের ভবনে উপস্থিত হইয়া দীনকে অর্থ, রোগীকে পথ্য, ভোগীকে উপদেশ, দিতেন। এইনিমিত্ত সকলেই তঁহাকে জননী স্বরূপ শ্রদ্ধা ভক্তি করিত। রাজ্ঞী অলীক গল্প করিয়া তিলাৰ্দ্ধ সময়ও নষ্ট করিতেন না। অবকাশ সময়ে পতির সহিত সমবেত হইয়া রাজ্যের শুভাশুভ ও কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য তর্কবিতৰ্কপূর্বক স্থিরীকৃত করিতেন। বাস্তবিক, তিনি সর্ববিষয়েই পতির সহকারিণী ছিলেন। মহিষী যথাসময়ে একটী কন্যাসন্তান প্রসব করেন। অনুক্ৰমে জাতকৰ্ম্মাদি সমুদয় সংস্কার সম্পন্ন হইলে, রাজা তনয়ার বিমল রূপলাবণ্য বিলোকনে বিমলা নাম রাখিলেন । বিমলা বৃদ্ধিশীল-বায়ুবৰ্দ্ধিত তরঙ্গমালাতুল্য বৃদ্ধিশীল হইতে লাগিলেন। রাজাঙ্গনা সুশীলা, কন্যাকে সুশীলা ও ঈশ্বরপরায়ণা করণভিলাষে, পঞ্চবর্ষ বয়সে উপযুক্ত-আচাৰ্য্য-হস্তে সমর্পণ করিলেন। এই সময়ে সাম্রাজ্যের সামন্ত সমুদায়, ভূপতিকে নিচান্ত হীনবীৰ্য্য দেখিয়া, বিদ্রোহী হইয়া উঠিল। চারি দিক হইতে এককালে যুদ্ধানল প্ৰজ্বলিত হইতে লাগিল। রাজা দাবানল বেষ্টিত দ্বিরদতুল্য ও বাড়বানল-বেষ্টিত সাগরবাসীর ন্যায়, একবারে ভয়ে বিহবল হইলেন। তঁহার অন্তঃকরণে রণোৎস উৎসারিত না হইয়া বরং প্ৰস্থানস্রোত বহিতে লাগিল। বিপদে বিহবল হওয়া নাশের হেতু, ইহা বিবেচনা করিয়া রাজমহিষী নৃপতির নিকটবৰ্ত্তিনী হইলেন, এবং তঁহাকে ধৈৰ্য্যশালী, সাহসী