পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। br@ " তদগতচিত্ত হইয়া এইরূপ প্রার্থনা করিতেন, নাথ !! আর কত দিনের পর আমাকে আপনি সহবাসিনী করিবেন ? আমি কঠোর বিরহ-যাতনা সহ্যু করিতে পারি না। অনন্তর পরমেশ্বরকে ধান করিয়া কহিতেন, হে অন্তৰ্যামিন! আমার অন্তরের ভাব । তুমি সকলই জান, তথাচ প্রার্থনা করিতেছি আমার মৃত্যু হইলে আমি যেন আমার স্বামীর সহবাসিনী হইতে পারি। স্ত্রীজাতি এরূপ ব্ৰহ্মচৰ্য্য-ব্রতনিষ্ঠ হইলে, পরাশর মতানুসারে বিধবার দ্বিতীয়বার পাণিগ্রহণ করা প্রয়োজন রাখে না। বস্তুতঃ দ্বি-স্বামিনী অপেক্ষা ব্ৰহ্মচৰ্য্যব্ৰতাবলম্বিনী সহস্রাংশে গুরুতরা ও দেবতার ন্যায় পূজনীয়া, তাহার সন্দেহ নাই। রাজা রমণীমোহন একটী কারভকে শিশুকালাবধি প্ৰতিপালন করিয়াছিলেন। তিনি স্বয়ং তাহার আহার ও স্নানাদি করাইতেন এবং সময়ে সময়ে গাত্ৰ-কণ্ডয়ন করিয়া দিতেন। যে যাহাকে স্নেহ করে, সেই তাহাকে ভালবাসে। আপ্যায়িত করিলে পরও আপনার হয়, এবং অনাপ্যায়িত হইলে আপনিও পর হইয়া থাকে । বস্তুতঃ আদর করিলে বনবিহানী পশু পক্ষীও আনুগত হয়। রাজা হস্তিশাবককে পুত্ৰবৎ প্রতিপালন করিয়াছিলেন, হস্তিশিশুও তঁহাকে ভয় ও ভক্তি করিত। তিনি যে স্থানে যাইতেন, ছায়ার ন্যায় প্রায়ই অনুগামী হইত। বিশেষতঃ করিশাবক যৌবনাবস্থা প্রাপ্ত হইলে নৃপতির অবগাহনসময়ে, বৃহদন্তোপরি মণিমণ্ডিত সিংহাসন ধারণ করিয়া অবনীনাথের অপেক্ষা করিত।