পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। br。 অপেক্ষা করিতেছিলেন। এক্ষণে উভয়ের অনুরাগাবলোকনে তাপ্ত ও আত্মজনদিগের আমন্ত্রণ করিলেন । আমন্ত্রিত অমাত্যগণ নিরূপিত দিবসে সভাস্থ হইলেন। বেশিকারিকা রাজবালাকে সুসজ্জিত করিলে, বিমল রূপিণী বিমলা সপ্ত সখী সঙ্গে সপ্তচন্দ্রবেষ্টিত বৃহস্পতি গ্রহের ন্যায়, সপ্তবর্ণসমবেত ইন্দ্ৰধনুর ন্যায়, সভামগুপে উপস্থিত হইয়া, সজ্জনের মনোরঞ্জন এবং বিষয়বিলাসার চিত্ত-চকোর হরণ করিলেন। বর কন্যা সভায় উপস্থিত হইলে, পুরোহিত উভয়ের প্রতি উভয়ের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সমুদায় বিস্তারিতরূপে বর্ণনা করিলেন । তদনন্তর পাত্ৰ কন্যা প্ৰতিজ্ঞাসূত্ৰে বদ্ধ হইলে, রাজ্ঞী বিজয়চন্দ্ৰকে কন্যারত্ন সম্প্রদান করিলেন। সভ্যগণ উভয়ের সম্মিলনে যৎপরোনাস্তি সন্তুষ্ট হইয়া কহিলেন, বিধাতা এক রত্নেই। অন্য রত্ন সম্মিলন করিয়া থাকেন। যেমন ইন্দ্রের অঙ্কে ইন্দ্রাণী ও বিষ্ণুর অঙ্কে কমলা শোভমান হন, তদ্ৰপ বিমলা বিজয়চন্দ্রের অঙ্ক’লক্ষী হইয়া শোভমান হইলেন। , যদ্রুপ স্বণগুণিকায় নীলকান্তমণি গ্রথিত হইলে, উভয়েরই উজ্জ্বলতা ও গৌরব বৃদ্ধি হয়, বিজয়চন্দ্র ও বিমলার মিলন হওয়ায় তদ্রুপ উজ্জ্বলতা ও গৌরব বৃদ্ধি হইল। এইরূপে বিবাহ কাৰ্য্য সম্পাদিত হইলে, বরকন্যা বাসরগুহে প্রবেশ করিলেন। বাসরমণ্ডপ অপূর্ব মণিমণ্ডিত, হীরক-খচিত ও ইন্দ্ৰধনুসদৃশ চন্দ্ৰাতপে আচ্ছাদিত হওয়ায়, যথার্থই বাসব বাসর-সদৃশ হইয়াছিল। অন্তঃপুরচারিকাগণ, নানা প্রকার বাদিত্রবাদনে, সুগীতিকীৰ্ত্তনে ও সুমধুর বাক্যকৌশলে মহিলামণ্ডপ আমোদিত করিয়া সমস্ত