পাতা:বিজ্ঞান-চক্রবান্ধব - প্রথম ভাগ (প্রথম - ষষ্ঠ সংখ্যা).pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिछन-घ्रङ्गदक्रिय् । @。 কারকঃ । অর্থাৎ ; কাহার অনেক বস্তু স্মরণ হয় কিন্তু স্বপ্ন কারক কে ? ইত্যাদি উপক্রম করিয়া উপসংহার করেন যে, যত এতনি লিঙ্গানি দৃশ্যন্তে পরমাত্মনঃ। তস্মাrদস্তি পরে দেহাদাত্ম সৰ্ব্বগ ঈশ্বরঃ অর্থাৎ পরমেশ্বরের বিরাট দেহ হইতে যে চিহ্ন স্বরূপ জগৎ সকল দৃশ্য হইতেছে; সেই বিরাট দেহ হইতে ভিন্ন, সকলের আত্মণ ঈশ্বর আছেন অতএব এক কারণ হইতে কার্য নিৰ্ব্বাহ হয় না । ঈশ্বরকে এই কারণেই কারণের কারণ কহে । হে পাঠকগণ ? এই স্থলে ক্ষুদ্র পুরুষের বাক্য শুনিয়! আমরা নিতান্ত অসন্তুষ্ট হইলাম । কেননা ঈশ্বরকে মান কি ন মানাতে মহাপুরুষের ঐহিক সুখের কিছু মাত্র ব্যাঘাত নাই । বিশেষত যদি তিনি ঈশ্বর মানেন, তাহা হইলে অনেক বিষয়ে তাহীর ঐছিক মুখের বাধা জন্মিতে পারে; আর যদি না মানেন তবে ভোগের বিষয়ে কিছু মাত্র ব্যাঘাত জন্মিতে পারে না । এ বিধায় যদি মহাপুৰুষ ঈশ্বর মান্য না করেন তাহাতে ঠাহীর কি ক্ষতি হইতে পারে ? বরং অব্যাঘাতে বিলাত গমন, গোমাংস ভক্ষণ, দিব্য পরিচ্ছদ ধারণ, সৰ্বাঙ্গে দিব্য সৌগন্ধিক অনুলেপন এবং স্ত্রীগমনাদি নানা প্রকার সুখ সম্ভোগ করিতে পারেন । পরন্তু অনেক বুদ্ধিযোগ না থাকিলে ঈশ্বর মান ষীয় না ; কিন্তু মহাপুরুষের সে বুদ্ধি কোথায় ? যে, কার্য্য কারণের অন্বয় ব্যতিরেক তর্ক দ্বারা ঈশ্বর মানিবেন ? হে পাঠকগণ ! মহাপুরুষ কহেন যে, যদিও ঈশ্বর আছেন বলিয়া স্বীকার করি ; কিন্তু উহার সেবার কিছু মাত্র প্রয়োজন নাই । কেননা তাহার সেবা না করিলে কৈ কোনরূপ শারীরিক কার্য্যের তো বাধা হয় না ? মহাপুরুষের উক্ত প্রশ্ন শুনিয়া ক্ষুদ্র পুরুষ কহেন যে, “ নৈককারণtৎ কার্য্য নিম্পন্নং এই ন্যায় মতে ঈশ্বরের অতিরিক্ত অনুকুল এক অদৃষ্ট বস্তু অবশ্য মান্য করিতে হইলে । যেহেতুক ঈশ্বর সৃষ্টিতে কেহ সুখী এবং কেহ দুঃখী হইয়া কাল যাপন করিতেছে । অথচ তা হীর মুহৃৎ বা বহিরঙ্গ কেহই নহে । তথাচ । নরাগে নদ্বেষঃ কচিদপি জনে তস্য ভবতি । অর্থাৎ ; তঁহির রাগ বা দ্বেষ কোন প্রাণী তেই নাই । অগত্য সুখ দুঃখের কারণ অদুষ্টকেই বলিতে হয় । এই অভিপ্রায়ে কুসুমাঞ্জলিতে কহিয়াছেন যে, একস্য নক্রমঃ কাপি বৈচিত্ৰগণ সমস্য ন । শক্তিভেদোনচাভিন্নঃ স্বভাবে দুরতিক্রমঃ। অর্থাৎ—একের ক্রম কোথাও নাই, সমীনের বৈচিত্র নাই, স্বভাব দুরতিক্রম, অর্থাৎ যাহাঁকে অতিক্রম করিতে কোন পদার্থই নাই । অতএব স্বম্বাদৃষ্ট প্রমেয় বটে ; সেই অদৃষ্টবশাও ঈশ্বর জীব সকলকে মুখী এবং দুঃখী করেন। (তথাহি মনু । ১। ২৮ ) যন্তু কৰ্ম্মণি যস্মিন সন্যযুঙ ক্র্যং প্রথমং প্রভূঃ স তদেব স্বয়ং ভেজে সৃজ্যমানঃ পুনঃ পুনঃ । কৰ্ম্মণাঞ্চ বিবেকাৰ্থং ধৰ্ম্মধৰ্ম্মে ব্যবচয়েৎ । দ্বন্দ্বৈরয়োজয়চ্চেমাঃ মুখ দুঃখাদিভিঃ এজাঃ।। অর্থাৎ ; সেই প্ৰভু যে কৰ্ম্মেতে প্রথমে যাহাকে নিযুক্ত করিয়াছেন, সে পুনঃপুনঃ