পাতা:বিজ্ঞান-চক্রবান্ধব - প্রথম ভাগ (প্রথম - ষষ্ঠ সংখ্যা).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

、、@S বিজ্ঞান-চক্রবান্ধব | ক্রমেতে ভ্রান্তি নদী প্রবল হইয়া প্রবtহিত হইতে থাকি বে। হে অবিদ্যাগণ ! তোমরা মনোনিবেশ পূৰ্ব্বক শ্রবণ কর— যে পুরুষ রমণীর বশীভূত হয় । পুরুষ সে নয় কভু পুরুষ সে নয় ॥ তার মত লোকশধম কেরা অার হয় | পুরুষে পুরুষ তারে কখন ন কয় ॥ প্রকৃতির মঙে মত করে যেই জন । চিরকাল দুখ ভোগ করে সেই জন ॥ কখন না হয় তার সুখ উদীপন । পুরুষ হোলে কি দেয় রমণীরে মন ॥ রমণীর মুখে হাসি অন্তরে গরল । মানের আশঙ্কও রাখে না, কিছুষ্ট বিলেচনা করে না,কেবল অণহা- সুখ অন্বেষণেই পরি ভ্রমণ করে । কি রূপ যে হয় নারী কিছুই বুঝিতে নারি, মৰ্ম্মভেদি কৰ্ম্ম করে ধৰ্ম্ম নাহি মানে । রমণী পাপের মূল, নাহি মানে জাতি কুল, } স্বনাথের কুল খেয়ে পরে ঘরে আনে ৷ পতি যদি পায় টের, করে কত বাক্য ফের, যে বলে রমণী মূখ সুখ সেই জন । দেখিতেছি চিরকাল, রমণী চাতুরী জাল, চাতুর্য্যেতে নয় কেহ নারীর মতন ॥ হানিয়া কটাক্ষ বাণ, পুরুষের নাশে প্রাণ, অভিমান ম্ৰিয়মাণ কথায় কথায় । বাহ্যিকেতে ভাল বাসা, অন্তরে কপটপাশণ, ছলে পুর্ণ সদা কাল কে বলে সরল ৷ সাক্ষাতে তোমরা কত করিতেছ ছল । স্ববল বলিয়া মোর নাহি টুটে বল ॥ বিশ্বাস ঘাতিনী নারী বিশ্বাস ঘাতিনী দিবসে যামিনী করে দিবসে যামিনী । । বরঞ্চ স্ববশে রয় সাপিনী শাখিনী । কখন না বশে রয় রমণী ডাকিনী ৷ তরঙ্গ বিহীন যদি হয় রত্নাকর । ধরণ শায়ী হয় যদি হিম ধরাধর । রতি পতি যদি ত্যজে ফুল-ধনুশর। তথfচ ন হয় নারী সরল অন্তর.। রমণীর সদৃশ হীন মতি এবং হীন জাতি ত্ৰৈলোক্য মণ্ডলে বিরল। ইহাদের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কৰ্ম্মাকৰ্ম্ম কিছুই বিবেচনা নাই, যখন যাহা মনে করে ; তখন তাহাই করে, । নারী বশীভূত যার, ধনে গ্রাণে হয় সারা, কণর সাধ্য রমণীরে হোতে পারে জোই । যে জন সটীকান্তরে, রমণীরে ঘৃণা করে, লোক শ্রেষ্ঠ তারে আমি মুক্ত কণ্ঠেকোই ॥ ! কচেবার আড়ি মেরে সতত খেলায় ॥ |

|

| হে মহিলীগণ ! মদীয় বচনে তোমরা কষ্ট বা অসন্তুষ্ট হয়ে না, আর এমন বিবেচনা কোর না, রোহিণীকে প্রাণ তুল্য, এবং তোমাদিগকে বিষন্তুল্য বিবেচনা করি, আমার সকলেই সমান, কেহ ছোট বড় নহে। তোমরা এক গৰ্ব জাত এবং সকলেই সমান রূপসী, অতএব আমি কি নিমিত্তে তোমাদিগকে লঘু গুরু জ্ঞান করিব, ইহ। কেবল তোমাদের মনেীভ্রম, ভ্রমকে পরিহার কর, ভ্ৰম অতিশয় কাহার অপেক্ষা করে না, পতির অপ- | মন্দ জানিবে ।