পাতা:বিজ্ঞান-চক্রবান্ধব - প্রথম ভাগ (প্রথম - ষষ্ঠ সংখ্যা).pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞান-চক্রবন্ধব । ઉભ কোন মতে হৃদয়েতে রেখোনকো ভ্ৰম । সমেরে নাশিতে সবে কর কর ক্রম ॥ যাহার তান্তরে জাগে কাল রূপী ভ্ৰম । লোকের নিকটে তার নাহি রয় ভ্রন ॥ ভ্ৰম-পরবশ হ’য়ে জ্ঞান হীন জনে । অকালে গমন করে কালের মদনে ॥ জ্ঞানীর যদ্যপি হয় ভ্রম যুক্ত মন । অজ্ঞানের কৰ্ম্ম করে ভ্রমেতে তখন ॥ হে অবিদ্যাগণ ! আমি বারম্বীর বলিতেছি, তোমরা ভ্রমকে ত্যাগ কর । আমি কাছারোই বশীভূত নই, কেবল এক মাত্র সদাশিব শঙ্করের বশীভূত হই। ভ্রমের সমুদ্রে কেন গুণিতেছ ঢেউ। রোহিণীরে কটু বাণী কোয়োনাকে কেউ। তোমরা যে রূপ মম রোহিণী সে রূপ । দোহাই দোহাই আমি করিমে বিদ্রুপ ॥ হে অবলগগণ ! ক্রোধ করা উচিত নয়, ক্ৰোধ অত্যন্ত অনুপকারী বস্তু জানিবে । যদ্যপি কখন হয় রাগের উদয় । অস্তরের রাগ কোর অস্তরেই লয় ॥ রাগের অধীন হেীয়ে আমুরের দল । ক্ষীরোদ মন্থন ফল করিল বিফল ৷ আমার নিকটে হও সকলে সমান । তবে কেন হেন রাগে দেহে দী ও স্থান | তোমরা দুরন্তু রাগকে শরীর হইতে বিরাগ কোরে যশস্বিনী ধৈর্য্যের প্রতি প্রীতি প্রকাশ কর, তাহ হইলে তোমাদিগের যশে ত্রিভুপন পরিব্যাপ্ত হবে, এবং তোমরা রমণীর শিরোমণী হবে । হৃদয় ভtণ্ডারে অtংছ ধৈর্য্য গুণ যার । তার মত ত্ৰিজগতে জ্ঞানী নাই আর ॥ ধৈর্য্য গুণে পায় জীব পরনাথ ধন । তাই বলি ধৈর্য্য হৃদে করহ স্থাপন ৷ বার বার এই বাণী বলি তেছি সবে । ধৈৰ্য্যের অধীন আর কৰােঁ সবে হবে ॥ হে জ্ঞানীন্ধ ভামিনগণ! তোমরা ক্ষমাকে সঙ্গিনী কোরে সংসার ক্রীড়ায় ক্রীড় কর । কটু কয় যদি কেহ জ্ঞানে কিম্বা ভুলে । বিবাদ কোর না তায় বাদ স্থত্র তুলে ॥ ধৈর্য গুণে ক্ষমাদান করিবে তখন। যশে পূর্ণ হইবেক এ তিন ভুবন ॥ ক্ষমাতে যশের বৃদ্ধি আর বৃদ্ধি মান । ত্ৰিজগতে নাই অণর ক্ষমার সমান ॥ হে কুটুম্বনীগণ! তোমরা কটু কথা পরিত্যাগ কর, কটু কথা কলুষণধার জানিলে । কটু বাণী বিষণ্ডুল্য জ্ঞানী করে জ্ঞান । কটু ভাষী কাল সৰ্প উভয়ে সমান ॥ সৰ্পের বদনে বিষ যেরূপ প্রকার । কটু-ভাষি-মুখে বিয কটু ভাষা তার ॥ কখন ধোর না কণ্ঠে কটুময় স্বর। কটু ভাষী কোথা বল পায় সমাদর ॥ হে দক্ষীয় জাগণ ! তোমরা লজ এবং ভয়কে অবলম্বন কর। উছারা কুলবর্তীর লক্ষণ হয় । - দিবানিশি পুজে যেই পতির চরণ। পতি বিনে অন্য জনে নাহি যার মন ॥