পাতা:বিজ্ঞান-চক্রবান্ধব - প্রথম ভাগ (প্রথম - ষষ্ঠ সংখ্যা).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞান-চক্রবন্ধব । শাস্ত্রকারের স্বার্থ সাধনের নিমিত্ত প্রতারণা পূর্বক শ্রাদ্ধ, পুজা, ও ব্রতাদি কপেন করিয়ণ শাস্ত্র সকল জনসমাজে প্রচারিত করিয়াছেন । মনুষ্যগণ বাল্যকালীবধি পিতৃ পিতামহদির ভ্রান্ত্যাচার দ্বন্টে তৎপথবর্তী হইয়! অনৰ্থক কষ্ট পায়, কেবল অনলধীনতাই কষ্টের কারণ জানিবে । মহাপুরুষ সৰ্ব্বদা ঐ সকল বক্তৃত করিয়৷ অজ্ঞ সমাজে বিজ্ঞ হইয় উঠিয়াছেন । তাহার কোন শিষ্য কছেন যে, তিনি ঈশ্বর জানিত ; কেহ কহেন, যে তিনি অবতীর ; কোন কোন শিয়া কহেন যে, তিনি যখন বর্তৃতা করেন তখন র্তাহীর ষড়ামান লক্ষিত হয় । কোন শিষ্য কহেন মে যখন তিনি বিলাত গমনের সময় বুলি স্কন্ধে করিয়া ভিক্ষ{গ্রহণ করেন, তখন আমার বেধি হইল ; যেন তিনি বিংশতি হস্ত বহির । করুিয়া ভিক্ষণ করিতে লাগিলেন । কিন্তু ভিক্ষ সৰ্প সহিতে ৩৮ • বা ৪ টাকার অধিক নহে । বোধ হয় পাছে ঝুলিটি ভিক্ষার ভরে ছিড়িয়া যায় এবং গুরু "ভিক্ষার গুরুভার বহনে কাতর হয়েন ; শিষ্যের এই বিবেচনা করিয়াই স্বল্পভিক্ষণ দিয়া থাকিবেন । আবার কোন কোন শিষ্য কহেন যে, যখন তিনি গমন করেন তখন যেন তাহাকে চতুষ্পাদ জ্ঞান হয় । আমাদিগের মতে ঐ সকল শিষ্যের নজরই বিলক্ষণ পরিষ্কার ; যেহেতুক উtহfরণই গুরুর সঠিক, রূপ দর্শন করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছেন । সে যাহা হউক ; এক্ষণে মহাপুরুষের উপরোক্ত বক্তৃতা শ্রণে এবং উiহার প্রচারিত לא কতক সংস্কৃত কতক ফার্সি এবং কতক ইংরাজি মতের যে খিচুড়ি গ্রন্থখানি দৃষ্টি পুৰ্ব্বক এতদ্দেশীয় এক ক্ষুদ্র পুরুষ যাহ। কহিতেছেন । হে পাঠকগণ ! ত{হ আপনীর নিম্নভাগে পাঠ কৰুন । উপরি উক্ত মহাপুরুষের ঐ সমস্ত বাক্য শ্রবণে এবং তঁহার ধৰ্ম্মশাস্ত্র দুষ্টে এই মাত্র জ্ঞাত হওয়| ঘtয় যে, তিনি মহাপুরুষ নহেন, অন্য কোন রূপ হইবেন । কেন না মহাপুরুষের এরূপ ধর্থ্য নহে সে বিবিধ স্থানে বিবিধ প্রকার বর্ভূত করেন ; বোধ হয় তিনি সৰ্ব্ব শাস্ত্র বেত্ত হইলে ধৰ্ম্ম বিষয়ে এরূপ বিভীষিক দর্শন করিতেন না কেবল শাস্ত্রীজ্ঞতা প্রভfবেই নান স্থানে নানা কথার উল্লেখ করিয়া জনসমাজে হাস্যাসপদের আসপদ হইতেছেন । মহাপুরুষের ভাব ভঙ্গিতে এই মাত্র জানা যায় যে র্তাহার কোন গতিকে বর্ণাশ্রম ধর্মের ব্যতিক্রম ছিল ; এই কারণে তাছাম নন্দ এবং স্বীয় মহাপুরুষত্ব প্রতি পাদনের কারণ বহুপ্রকার চেষ্টা করিতেছেন । ফলত তাঁহাতে র্তাহার ব্রহ্মজ্ঞান জানা যায় না, বরং অজ্ঞানত জান। যাইতেছে । কারণ, তিনি সর্বদা ইতর ব্যক্তিগণকে কহেন যে, • আমি ব্রহ্মজ্ঞানী • ইহাতেই তঁfহার ব্রহ্মজ্ঞান ওitহ নহে ! ফলত উtহাঁর বাক্যের মর্ম বিৰেচন । করিলে সমূহ প্রবঞ্চন প্রকাশ পাইয়া । র্মেস্থার প্রমের উদেশ্যর ব্যাঘাত জম্মীয়, এবং তঁহীর নিন্দীর বারণ না হুইয়া বরং আধিক্য হইয় উঠে। o হে পাঠকগণ ! আমাদিগের মতে ।