পাতা:বিজ্ঞান দর্পণ (প্রথম খণ্ড, ১২৮৯).pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশ্বিন ১২৮৯।]
রহস্য।
১৮৯

শব্দ করিয়া বাজিতে থাকে। ঘণ্টার শব্দ শুনিলেই প্রতিবাসীরা জানিতে পারে যে, কোনরূপ বিপদ ঘটিয়াছে। কিন্তু এ পর্য্যন্ত ঘণ্টার ব্যবহার হয় নাই।

 এই ঘরে আর দুইটি কল আছে, ঐ যে কোণে পর্দ্দা ফেলা রহিয়াছে, উহা স্নান করিবার স্থান; উহার ভিতর, মাথার উপর খুব বড় সাওয়ারবাথ্ আছে, প্রবেশ করিলেই জল পড়িবে, কোন রূপ কল টিপিতে হইবে না। প্রাতঃকালে না হয় ঐ খানে স্নান করিও।

 আমি। তাহবে এখন; আমার বোধ হয় তোমার যা কিছু কলরল এই ঘরেই শেষ করিয়াছ।

 হার্বি। না ভাই, প্রত্যেক ঘরেই কিছু না কিছু আছে। আচ্ছা একবার দেখে এসদেথি কলে জল আছে কি না?

 আমি। আছে, এইমাত্র জল আসিতেছে।

 হার্বি। এইমাত্র আসে নাই। তুমি দেখিতে যাইবার সময় একটি টিপকল তোমার ডান পা দিয়ে মাড়াইয়াছ তাহাতেই জল আসিয়াছে, আাবার আসিবার সময় আর একটি মাড়াইবে তা হলেই কল বন্ধ হইবে।

 আমি। আচ্ছা বুদ্ধি যাহ’ক। ভাবিয়া ভাবিয়া এত কাণ্ড করিয়াছ।

 হার্বি। আর একটি জিনিষ এ ঘরে আছে। বিছানার কাছে এই যে তিনটি টিউব দেখিতেছ ইহা দ্বারা কথা কহা যায়। যাহাতে ১ লেখা আছে উহা অমার ঘর পর্য্যন্ত গিয়াছে, অপর দুইটি, একটি আমার ভগ্নির ঘরে ও আর একটি লিডির ঘরের সহিত যোগ আছে। শেষের দুইটি বোধ হয় তোমার কোন আবশ্যক হইবে না, তবে যদি লিডিকে সকালে চা আন্‌তে বল।

 আমি। লিডি কে? দাসী নাকি? দেখিতে বেশ সুন্দর ত?

 হার্বি। কেন দাসী হইলে কি সুন্দর হইতে নাই? কিন্তু এরি মধ্যে তোমার সেদিকে নজর পড়িয়াছে যে। দেখো, যেন কোন তামাসা করিও না, সে তামাসা বুঝে না।

 আমি। ওকথা বল্লে যে? তুমি কি আমার চরিত্র জান না?

 হার্বি। তোমার চরিত্র আমি বেশ জানি। তামাসা করিতেছিলাম মাত্র। এখন কাপড় ছাড়, আহার প্রস্তুত। আমিও কাপড় ছাড়িগে।

 বেশ পরিবর্ত্তন করিয়া মনে করিলাম একবার নল দিয়া কথা কহিয়া দেখি; ১ নম্বর নলে ফুঁ দিলাম, অপরদিক হইতে উত্তর আসিল “ব্যাপার কি,” আমি বলিলাম “আমার হইয়াছে তোমার কি বিলম্ব হবে?” “আমারও হইয়াছে, আইস।”