পাতা:বিজ্ঞান দর্পণ (প্রথম খণ্ড, ১২৮৯).pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশ্বিন ১২৮৯।]
রহস্য।
১৯১

 আমি। মন্দ নয়! কিন্তু যদি তুমি টের না পাও, বোধ হর তাহাকে সমস্ত রাত্রি ঐ রূপ যন্ত্রণা পাইতে হইবে?

 হার্বি। হ্যাণ্ডেল ধরিলেই আমার ঘরে একটি ঘণ্টা বাজিবে, তা হইলেই আমি টের পাইব।

 রাত্রি অধিক হইল। আমরা শয়ন করিতে গেলাম। হার্বি আমার ঘরের দরজা পর্য্যন্ত আসিয়া গুড্‌নাইট বলিল। যাইবার সময় বলিয়া গেল “যদি কিছু আবশ্যক হয়, টীউব দিয়া, বলিয়া পাঠাইও।

 শয়ন করিলাম। অল্প ক্ষণের মধ্যেই নিদ্রা আসিল। স্বপ্নে বোধ হইল যেন রেলের গাড়ি চড়িয়া কোথাও যাইতেছি। এঞ্জিনের বাঁশী বাজিতেছে। হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। দেখি হার্বি নল দিয়া শিস্ দিতেছে; আমি জিজ্ঞাসা করিলাম “খবর কি? উত্তর আসিল “বিশেষ কিছু নয়, কোন অসুখ হয় নাইত? আর বলিতেছিলাম যে প্রাতে নয়টার সময় আমরা আহার করিব।” আমি কতকটা রেগে বলিলাম “এতক্ষণ কোন অসুখ ছিল না, তুমি আমার ঘুম ভাঙ্গাইয়াছ, এরূপ আর জাগাইও না।”

 “এরূপ আর জাগাইও না” বলিলাম বটে কিন্তু ঘুমাইলেত জাগাইবে; ঘুম আর হয় না; অনেক ক্ষণ এপাশ ও পাশ করিলাম নিদ্রা আসিল না। ভাবিয়া স্থির করিলাম, হার্বি যেমন আমাকে জব্দ করিয়াছে, আমিও উহাকে জব্দ করি। টিউব ধরিয়া হুইসল্ বাজাইলাম, কতকটা ঘুমন্ত স্বরে উত্তর আসিল “কেন?” আমি বলিলাম “আমার আর ঘুম হইতেছে না, হয় তুমি আমার ঘরে আাইস, নতুবা আামি তোমার নিকটে যাই, তুমি আসিলেই ভাল হয়। যেমন বলিয়াছিলে, আসিয়া ছোট বিছানায় শোও।”

 উত্তর। আমি! আমি তোমাকে কি বলিয়ছিলাম? পাজি, নচ্ছার, হতভাগা! তোর চরিত্র এত খারাপ! সকালে উঠিয়া হার্বিকে এবিষয় বলিয়া তোকে উচিত শাস্তি দেওয়াইব।

 ও বাবা! কি সর্ব্বনাশ! ভুলে দুয়ের নম্বর টিউব দিয়া হার্বিকে ডাকিতে তাহার ভগিনিকে আসিতে বলিয়াছি! এখন উপায়! পুনরায় টিউব দিয়া বলিলাম “মেম্ সাহেব, আমার ভুল হইয়াছে, আামি তোমার ভ্রাতাকে ডাকিতে তোমাকে ডাকিয়া ফেলিয়াছি।” কোনও উত্তর নাই। আবার বলিলাম “মেম্ সাহেব, শুনিতেছ কি?” উত্তর নাই। নিশ্চয় ভয়ানক রাগ করিয়াছে, আমার আর কোন কথা শুনিবে না। চেষ্টা বিফল দেখিয়া শয্যায় শয়ন করিলাম। মনে মনে ঘৃণা যে হইল তাহা আর বলিবার নয়। কি লজ্জা! একটা ৫০ বৎসরের বুড়িকে