পছন্দ করে বিয়ে করেছে, সে বৌয়ের মুখ দেখলেই ঐ বিয়েন বিয়েন, আর পোড়া শিখ সব খসে পড়বে।
গৌরহরি। দেখ গিন্নি! আমি আর সহ কর্ত্তে পারিনা; এই বুড়ো বয়সে অদেষ্টে আরও কত কষ্ট আছে জানি না। তুমি মাখনকে বুজিয়ে সুজিয়ে যদি বিয়ের রাজি কর্ত্তে পার তা হ’লে এই অগ্রহায়ণ মাসেই বিয়ে দিয়ে দি।
চন্দ্রমুখী। ওমাঃ সে কি? তোমার বুঝি সে বৌ পছন্দ হয় নি—তবে তুমিও বৌ দেখেছ। আমার এম্নি পোড়া অদেষ্ট যে মাখনের বৌ দেখ্তেও পেলাম না। (ক্রন্দন।)
গৌরহরি। আরে তুমি কাঁদ কেন? তোমার পাগল ছেলের সঙ্গে বে দেবে কে? লেখা পড়া শিখে ছেলে বেগড়াতে দেখা, এই আমার প্রথম।
চন্দ্রমুখী। তুমি আর বিগ্ড়েছে বিগ্ড়েছে বলো না; তুমি আমার মাখনের বিয়ে দেবে কি না বল? যদি না দাও আমি আমার ছেলেকে নিয়ে বিদেশে চলে যাব, সেই খানে গিয়ে দেখি তার বিয়ে দিতে পারি কি না।
গৌরহরি। আ আমার পোড়া কপাল, বিয়ে দেবো কি? সে বলে তার বিয়ে বিজ্ঞানের সঙ্গে হয়েছে। সে আর অন্য বিয়ে করবে না।
চন্দ্রমুখী। এ পোড়া বিয়েন কি? আমায় দেখাতে পার, কে সে বিয়েন, তা হ’লে বেটিকে দাসী দিয়ে ঝ্যাঁটা খাওয়াই।