নগেন্দ্র। কাগজের কাপি লিখ্বে কে? আমার কি আর কাগজ লেখবার অধিকার আছে?
হেমন্ত। আমি এখন মাখন বাবুর পরিণীতা স্ত্রী তোমার কাগজ, তোমার কলম, তোমার কাপি ও তোমার সহিত সম্পর্ক আজ হতে বা ইহার এক মুহূর্ত্ত পূর্ব্ব হ’তে আমার সহিত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
নগেন্দ্র। সে কি হেমন্ত! কেন হেমন্তকুমারী আমি তোমার কি দোষ করেছি? আমি তোমার স্বামী; স্বামী স্ত্রীলোকের গুরু; আমি বর্তমান থাক্তে—
হেমন্ত। এ পরাশরের মত, সুতরাং ঠিক শাস্ত্রসম্মত হয়েছে, তুমি যখন অনুপস্থিত ছিলে তখন আমি এই বিবাহ করেছি। এ’ত দোষ তোমার কিছুই নহে; আমার ইচ্ছা।
নগেন্দ্র। তোমার এ ইচ্ছা কেন হ’লো, হেম?
হেমন্ত। কেনর উত্তর নাই, আমি তোমাকে বিবাহ করেছি। আমার ইচ্ছা আমি তোমাকে ত্যাগ কল্লেম। তুমি জেন আজ হ’তে আমি মাখন বাবুর পরিণীতা স্ত্রী।
নগেন্দ্র। অ্যাঁ ওমা আমার কি হ’বে। আমি কার জন্য নিত্য ঘরে আস্বো। (ক্রন্দন)
রামকান্ত। নগেন্দ্র বাবু! এটা ভদ্রলোকের বাড়ি, এটা শ্মশান বলে মনে করবে না, যে ইচ্ছা মাপিক চীৎকার কর্ত্তে পারেন।
নগেন্দ্র। শ্বাশান হ’লেও বোধ হয় ভাল ছিল। এটা শ্মশান অপেক্ষাও জঘন্য স্থান, এখানে জীয়ন্তে ত্যাগ কর্ত্তে